দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রার্থিতার দৌড়ে অংশ নিতে পারবেন বলে রায় দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকান প্রাইমারির ভোটে অংশ নেওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করে কলোরাডো রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটি সর্বসম্মতভাবে নাকচ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল ভবনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার প্রেক্ষাপটে রাজ্য তাকে ভোটে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করতে পারে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর তৃতীয় অনুচ্ছেদকে উদ্ধৃত করে গত ডিসেম্বরে কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, আইনসভা ক্যাপিটল হিলে বিদ্রোহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে ভূমিকা ছিল সেই কারণে এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।
দেশটির সংশোধনীর ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারি পদে থাকা কেও বিদ্রোহ করলে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। সেদিক থেকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের উল্লেখ করে কলোরাডো রাজ্যর আদালত ওই রায় দেয়। একই প্রচেষ্টা নিয়েছিল ইলিনয় ও মেইনও।
তবে সোমবারের রায়ে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা বলেছেন যে, কেবলমাত্র কংগ্রেসেরই সংবিধানের ওই সংশোধনী অনুযায়ী নির্বাচনে কাওকে অযোগ্য ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে। রাজ্যগুলোর এই ধরনের কোনো এখতিয়ার নেই। কলোরাডোর সুপ্রিমকোর্ট যে সিদ্ধান্তটি দিয়েছিল, সেটি মূলত ভুল। সূত্র: বিবিসি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org