দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় অপরিচিত কোনো নম্বর থেকে কল আসলে জানার সুযোগই থাকে না। আর এই কাজটিই অনেকটা সহজ করে দিয়েছে ট্রুকলার।
এই অ্যাপটি ব্যক্তির তথ্য এবং ফোন নম্বর একত্রিত করে বলে কারও নম্বর দেখে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু না কিছু জানা যাবেই। এটা শুধু ওই কলারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। আপনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই ট্রুকলারের ব্যবহার নিয়ে সতর্কও হচ্ছেন। নিজের নম্বর মুছে ফেলতেও চাইছেন। কাজটি কী আদৌ করা সম্ভব? সেই ক্ষেত্রে দুটো সুযোগ রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো, আপনার ফোন নম্বর ডিলেট করার পর ট্রুকলার হতে মুছে ফেলা।
ট্রুকলার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার পদ্ধতি
# আপনি প্রথমেই অ্যাপটি চালু করুন।
# এরপর সেটিংসে যেতে প্ল্যাটফর্মটির ডান পাশের ওপরের দিকে ৩টি ডট কিংবা সেটিংস আইকোনে ট্যাপ করুন।
# এবার সেটিংস থেকে প্রাইভেসি সেন্টার খুঁজে বের করে ট্যাপ করুন।
# তারপর অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট অপশন নির্বাচন করুন।
# এখন ইয়েস বাটনে ট্যাপ করে ডিঅ্যাক্টিভেট নিশ্চিত করুন।
# তবে অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করলেও আপনার ডেটা কিন্তু থেকে যাবে। আপনাকে তাই আনলিস্টিং করতে হবে।
সেটি যেভাবে করবেন
# প্রথমে www.truecaller.com/unlisting ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
# এরপর ফোন নম্বর এবং নিজের দেশের ফোন কোড টাইপ করুন।
# এবার আনলিস্ট করার কারণ নির্বাচন করুন।
# তারপর আনলিস্ট করুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org