দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ওই হামলাকারীর নাম তেজমল গুর্জর। আহতের ভাই রঞ্জিত মিনার দাবি করে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতা’র জেরেই তার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছেন তেজমল। পুলিশ পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জের! হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলাকালীন কুড়াল দিয়ে এক ব্যক্তির মাথায় কোপ মারলেন অপর জন। কুড়ালের আঘাতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান ওই ব্যক্তি। তার মাথা থেকে গল গল করে রক্ত বেরিয়ে আসতেও দেখা গেছে। সম্প্রতি ভারতের রাজস্থানের বুন্দিতে ঘটেছে এমন একটি লোমহর্ষক ঘটনা। পুরো ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে উঠে এসেছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েক জন পুরুষ একটি মঞ্চের উপর গোল করে বসে রয়েছেন। মাঝখানে নাচছেন একজন মহিলা। এমন সময় হঠাৎই পর্দার আড়াল থেকে কুড়াল হাতে বেরিয়ে এলেন সাদা জামা পরা ওই অভিযুক্ত। মঞ্চে বসে থাকা এক জনের মাথায় কুড়াল দিয়ে সজোরে আঘাত করতে দেখা যায় তাঁকে। আর তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। আর তখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান হামলাকারী। তারপরই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। লোকজন আতঙ্কে দৌড়াতে শুরু করেন। আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কোটার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেও পুলিশ খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org