দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউসিবি এগ্রো সিএসআর প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন নিশ্চিত করতে জৈব বালাইনাশকের উপযোগিতা পরীক্ষা করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের কীটতত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা বগুড়া, রংপুরের কৃষকদের মাঠে এই প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষক দলে আছেন ড নির্মল চন্দ্র, মুস্তাফিজুর রহমান, হারুন অর রশিদ প্রমুখ। এর আওতায় কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, মাঠদিবসে মাধ্যমে প্রযুক্তির যথার্থতা তুলে ধরা হয়।
রংপুরের মিঠাপুকুরে মাঠদিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের কীটতত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রোজাউল করিম সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য যে, খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের গুরুত্ব এখন সমানভাবে অনুভূত হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতাকে অনিশ্চিত করে তুলছে কীটনাশক ও রাসায়নিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। বিষয়টি ভোক্তা থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক পর্যন্ত ভাবিয়ে তুলছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের দাবি এখন জোরালো হয়ে উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে পুষ্টিমানসম্পন্ন নিরাপদ সবজি উৎপাদন এবং বিপণন নিশ্চিত করতে ইউসিবি কৃষি খাতে সহায়তামূলক বিশেষ প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে নিরাপদ পদ্ধতিতে সাধারণ ও উচ্চমূল্যের সবজি উৎপাদনের চাষ পদ্ধতি, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি, ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত বালাইনাশক (ট্রাইকোগামা পোকা, বায়োপেষ্টিসাইড, ফেরোমেন ফাঁদ ইত্যাদি)-র ব্যবহার, সবজি সংগ্রহ, গ্রেডিং ও বাজারজাতকরণ প্রভূতি বিষয়ে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিতগ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org