দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশকে যে কোনো ব্যবধানে হারালে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতো আফগানিস্তান। এবার রোমাঞ্চ জাগানিয়া ম্যাচে ৮ রানে জিতে ইতিহাস গড়লো আফগানিস্তান। অপরদিকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো বাংলাদেশ।
এই প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চের শেষ চারে উঠে গেলো আফগানরা। বাংলাদেশের হারের কারণে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো অস্ট্রেলিয়াও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হারে সেমিফাইনালে উঠার দুর্দান্ত সুযোগ ছিলো বাংলাদেশের সামনে। সুপার এইটে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারালে সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারতো টাইগাররা। সহজ করে বললে বলতে হয়, আগে ব্যাট করলে ৬২ রান ও পরে ব্যাট করলে ১৩ ওভারের মধ্যেই জিততে হতো লাল-সবুজের দলকে।
আফগানদের অল্পতে আটকে সমীকরণ আরও সহজ করে নিয়েছিল লাল-সবুজের দল। তবে শেষ পর্যন্ত পারলো না শান্ত বাহিনী, ছিটকে পড়লো। নির্ধারিত ওভারের মধ্যে লক্ষ্য তাড়া করতে না পারায় বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি-আইনে আফগানদের কাছে ৮ রানে হারলো বাংলাদেশ।
লালা-সবুজের এই পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ আজকের ম্যাচটি ছিলো আশা-জাগানিয়া ম্যাচ। যে রাতে আফগানকে আটকে দেওয়া হয়েছিলো, তাতে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আশা জেগেছিলো সেমির। কিন্তু সেই আসার গুড়ে বালি। শেষ পর্যন্ত শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলো বাংলাদেশ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org