দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তারই বায়োপিক বানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ নামে কলকাতার এই ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গেজুড়ে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। জানা গেছে, একই দিনে বাংলাদেশের হলগুলোতে দেখা যাবে ‘পদাতিক’। বাংলাদেশে এই ছবিটি সাফটা চুক্তিতে আমদানি করতে যাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তি পাচ্ছে ‘পদাতিক’। ইতিমধ্যেই আলাপ চূড়ান্ত হয়েছে। আমদানির জন্য ইতিমধ্যেই তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আশা করছি যে, শীঘ্রই অনুমতি পেয়ে যাবো।’
‘পদাতিক’-এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ‘হুব্বা’ বাংলাদেশে আমদানি করে জাজ। হুগলির ডনখ্যাত হুব্বা শ্যামলকে নির্মিত এই ছবির ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের মোশাররফ করিম। তবে ছবিটি মুক্তির পরই ব্যবসায়িকভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে এদেশে।
পদাতিকে মৃণাল সেনের যুবক এবং বয়স্ক-দুই চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। অপরদিকে নির্মাতার কিশোর বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত।
মৃণালের এই বায়োপিকে মৃণালের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেন পশ্চিমবঙ্গের মনামী ঘোষ। পুত্র কুণাল সেনের চরিত্রে রয়েছেন সম্রাট চক্রবর্তী।
এই বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেছেন, মৃণাল সেনের জন্ম হতে মৃত্যু তার কাব্যময় জীবন উঠে এসেছে এই ছবিতে। যে কোনো কাজেই আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টার কমতি থাকে না। পদাতিকে খুব সচেতনভাবে আমি সেরা চেষ্টাটিই করেছি। সৃজিত মুখার্জি গবেষণা এবং যত্ন নিয়ে ছবিটি করেছেন। আমার মনে হয় এই কাজটি ইতিহাসের পাতায় থেকে যাওয়ার মতো একটি কাজ হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org