দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজশাহী সদরের শাহডাইন কমিউনিটি সেন্টারে ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক কৃষি বিষয়ক সহায়তা উদ্যোগের আওতায় এক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)।
জেলার ৯টি উপজেলার মোট ২৪০ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে এইকর্মসূচি আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউসিবি পিএলসি’র করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্পের অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য দেশেরবিভিন্ন জেলায় এই ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি পিএলসি’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনাপরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান এবং বিটিভির কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং কৃষি তথ্য-বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক। এছাড়াও, আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিতছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা; রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ফজলে রাব্বি এবং রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ইউসিবি পিএলসি’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম ভুঁইয়া।
এই বিষয়ে ইউসিবি পিএলসি’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “বিভিন্ন জেলার কৃষি উদ্যোক্তাদের সময়োপযোগী জ্ঞান, পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করছে ইউসিবি পিএলসি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষক এবং কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে তোলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্যএই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ও বিভিন্ন অর্থায়ন সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পাবেন।”
উল্লেখ্য, কৃষকদের সুবিধার্থে ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে ইউসিবি পিএলসি। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ, কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এআই-নির্ভর ‘আরো মাছ’ (মোরফিশ) ডিভাইসের মতো কৃষি-সংক্রান্ত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণ, তামাকের বিকল্প শস্য হিসেবে ভুট্টা চাষে উৎসাহ দান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত হতে রক্ষা করতে লাইটনিং অ্যারেস্টার ডিভাইস স্থাপন, বিভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য উৎপাদন যন্ত্রপাতি হস্তান্তর প্রভৃতি।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org