দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া পানির বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা যায় যে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিলো।
জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া পানির বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা যায়, সেগুলো ১৮৫০ হতে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজের সম্প্রতি সন্ধান পেয়েছে ব্রিটেনের এক ডুবুরি দল। সেটিতে সন্ধান চালিয়ে মূল্যবান সামগ্রীর পাশাপাশি পাওয়া যায় ১৭৫ বছরের পুরনো প্রচুর শ্যাম্পেনের বোতল। শত শত বছর ধরে সমুদ্রতলে পড়ে থাকা এই শ্যাম্পেনের দাম যে কার্যত অমূল্য তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ১১ জুলাই বাল্টিক সাগরে অবস্থিত ওল্যান্ড দ্বীপের দক্ষিণ হতে প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুব দেন ২ ডুবুরি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেখানে অনুসন্ধান চালান তারা। সেখানেই তাদের নজরে আসে একটি ডুবন্ত জাহাজ।
জাহাজের মধ্য হতে উদ্ধার হওয়া পানির বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা যায়, সেগুলো ১৮৫০ হতে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
একটি ডাইভিং গ্রুপের সদস্য ছিলেন এই দুইজন। বিষয়টি নজরে পড়ার পর নিজেদের গ্রুপকে বিষয়টি জানান তারা। তারপর সেখানে হাজির হয় ৪০ জন ডুবুরির একটি দল। ওই দলের প্রধান টমস স্টাচুরা বলেন, সমুদ্রের প্রায় ১৯০ ফুট গভীরে ওই জাহাজে সন্ধান চালিয়ে পাওয়া যায় সেল্টার নামে এক জার্মান ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটারের বোতল এবং প্রচুর পরিমাণ শ্যাম্পেন।
উনিশ শতকের ওই জাহাজটি কার্যত ভালো অবস্থাতে রয়েছে। শ্যাম্পেন এবং পানির বোতলগুলো বড় বড় ঝুড়িতে ভরা ছিল। আরও চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, জাহাজ থেকে পাওয়া গেছে মাটির তৈরি কারুকাজ করা অনেক বাসনপত্র। ওই মাটির বাসন যে সংস্থার তৈরি ওই সংস্থাটি এখনও রয়েছে। সংস্থাটি থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, বোতলগুলো তাদেরই তৈরি। তবে শ্যাম্পেনগুলো কোনও সংস্থার তৈরি তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি হলো, ১৮৫২ সাল নাগাদ রাশিয়াতে বাণিজ্য করতে যাচ্ছি এই জাহাজটি। তবে মাঝপথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সমুদ্রে সলিল সমাধি ঘটে জাহাজটির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org