দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পছন্দের কোনো গানের সুর মনে আসছে কিন্তু কথা কিছুতেই আপনার মনে পড়ছে না। এমন সমস্যার সমাধান আনলো ইউটিউব মিউজিক। জেনে নিন সেই নতুন কৌশল।
গান খুঁজে পাওয়াকে সহজ করার জন্য নতুন সং সার্চ ফিচার চালু করলো এই প্ল্যাটফর্মটি। এর মাধ্যমে গানের কিছু লাইন গুনগুন করে বা বাদ্যযন্ত্রে বাজিয়ে সেটি খুঁজে বেরও করা যাবে।
নাইনটুফাইভ গুগলের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, গত মার্চ মাস থেকে বহুল প্রতীক্ষিত এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়ে আসছে ইউটিউব। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য ফিচারটি উন্মুক্তও করে দেওয়া হয়।
এই সার্চ সং ফিচারটি ব্যবহারের জন্য কিছু ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। প্রথমেই মিউজিক অ্যাপের ওপরের দিকে সার্চ কিংবা ম্যাগনিফাইং আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখানে মাইক্রোফোনের পাশে ওয়েবফর্ম কিংবা তরঙ্গের আইকন খুঁজে পাবেন। এই আইকনে ক্লিক করেই ব্যবহারকারী গান গেয়ে কিংবা গুনগুন করে সুর শুনিয়ে নির্ধারিত গান খুঁজে বের করতে পারবেন খুব সহজেই। সার্চের পর নতুন পেইজটিতে গানের নাম, শিল্পীর নাম, অ্যালবাম এবং কভার আর্ট, প্রকাশের বছর ও গান বিষয়ে অন্যান্য জরুরি তথ্যও দেখতে পাওয়া যাবে।
টেক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফটওয়্যারটি পিক্সেলের ‘নাউ প্লেয়িং’ ফিচারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা এআই ব্যবহার করে মূল রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে শব্দও মেলাতে পারে। ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ইউটিউব মিউজিকের ৭.০২ সংস্করণের সার্ভার-সাইড আপডেট এসেছে। আর আইওএসে আনার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও, ভবিষ্যতে এই অপারেটিং সিস্টেমেও ফিচারটি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org