দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি।
তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামীপন্থী শিল্পী, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস প্রকাশ করে শামীমা তুষ্টি বলেছেন, আমি জানি, আমি যা লিখছি, তার জন্য গালি এবং ট্রলের সম্মুখীন হতে পারি। তবে আমি আমার পজিশন সম্পর্কে স্পষ্ট করতে চাই।
তুষ্টি লেখেন, দলের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হয় ও তিনি হত্যাকাণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার সমর্থক নন। তুষ্টি আরও বলেন, আমাদের অনেকেরই পজিশন নেওয়া দরকার ছিল। তবে আমরা কী ঘটছে তাও জানতে দেরি করেছি, উল্লেখ করেন তুষ্টি।
তুষ্টি আরও বলেন, আমি একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখানেও বলেছি যে, এগুলো বন্ধ করা দরকার। তবে ঘটনা এতো দ্রুত ঘটছিল যে, আমি সমর্থন করি না -তা আপনাদের জানানোর সুযোগই পাইনি।
তিনি দাবি করে বলেন, আমি যে দলে ছিলাম, সেই দলের নেতাদের সব কার্যক্রমকে আমি সমর্থন করি না। স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি শহিদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমার অনুভূতিও নতুন নয়। আমি সবার মঙ্গল কামনা করছি।
তার এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তুষ্টি অনেকের সমালোচনার শিকারও হয়েছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org