দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নুহাশের চলচ্চিত্র মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। আর সেই চলচ্চিত্র ‘বেসুরা’য় আছেন জয়া আহসান।বিষয় আর সংলাপের জৌলুসের সঙ্গে দর্শকদের চমকে দিতে পর্দায় হাজির জয়া আহসান। গল্পের এক ডাইনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মেকআপের গুণে ডাইনি চরিত্রে তাকে বোঝাই যেনো কষ্টসাধ্য। গল্পের প্রয়োজনে শেষভাগে নিজের রূপে ধরা দেন এই অভিনেত্রী।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ’২ষ’ এর শেষ পর্ব ’বেসুরা’ প্রকাশ পেয়েছে। সিরিজে ভয়ের যেনো নতুন এক ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। তাইতো পরিচিত ভূতের গল্প না বলে সাইকোলজিক্যাল হরর গল্পই বলেছেন তিনি। মা গুলতেকিন খানের সঙ্গে গল্পগুলো লিখেছেনও নুহাশ।
ডাইনি চরিত্রে অভিনয়ের কথা শুনে কাজটি করতে আরও আগ্রহী হন বলে জানান জয়া আহসান। তিনি বলেছেন, “দর্শকরা সবাই কম–বেশি জানেন আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, ভিন্ন রকম চরিত্র করতেই পছন্দ করি। গল্পটিও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নুহাশ হুমায়ূন এবং গুলতেকিন খান মিলে ভীষণ শক্তিশালী এক গল্প লিখেছেন। ক্যামিও চরিত্র হিসেবে এই কাজটি করেছি। ছোট চরিত্র হলেও এর প্রভাব অনেক বেশিই।”
“বেসুরা’র গল্প ও সংলাপ নিয়ে জয়া আহসানের আরও কিছু মুগ্ধতাও রয়েছে। তিনি মনে করেন, পর্বটিতে এমন কিছু সংলাপ রয়েছে যা বলবার লোভ থেকে হয়তো কাজটি করেছেন তিনি। এই অভিনেত্রী বলেন, “আমরা যে অভিনয় কিংবা শিল্পচর্চা করি বা একজন শিল্পী যে শিল্পচর্চাটা করেন তার মূল জায়গাটি কী, সেটি ডাইনি বেশে আমার দেওয়া সংলাপগুলোতে নিহিত রয়েছে।”
‘২ষ’ সিরিজের ‘বেসুরা’ পর্বে অনেকটা সময় ডাইনি সাজে থাকতে হয় জয়া আহসানকে। শেষ কিছু মুহূর্ত না এলে অভিনেত্রীকে বোঝা বেশ কঠিন হয়ে যেতো বলে মনে করছেন অধিকাংশ দর্শক। নুহাশ জানিয়েছেন, কনটেন্টটি এডিট করার সময় প্রথমেই এডিটরও নাকি বুঝতেই পারেননি যে ডাইনি বেশে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সে জন্য অবশ্য অভিনেত্রী কৃতিত্ব দিয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট, নির্মাতা এবং সিনেমাটোগ্রাফারকে।
এই পর্বটিতে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, মান্, এরফান মৃধা শিবলু, মাসউদুর রহমান, বাবলু বোস, সায়েম উদ্দীন, অনিমেষ দাস, স্নিগ্ধা দেবী, মোহাম্মদ ফাইয়ান ওয়াহিদ, রাজদীপ দাশ, আর্নিকা দেবী অর্থি, বীণা দাশ গুপ্তাসহ অনেকে। ’২ষ’ সিরিজের আবহসংগীত করেছেন অভিষেক ভট্টাচার্য্য ও ‘বেসুরা’ পর্বে দু’টি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org