দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘নটী বিনোদিনী’ সিনেমার নিবেদক ও যৌথ প্রযোজক দেব। ১১ জানুয়ারি সকালে নন্দন ৩-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই তারকার রসায়নের আরেকবার সাক্ষী হলেন দর্শকরা।
এই দিন সিনেমাটির প্রথম ঝলক উন্মোচন করা হয়। একঝাঁক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে, মঞ্চ হতে প্রযোজক-অভিনেতা দেব জানিয়েছেন, সিনেমাটি নিয়ে তার বিশেষ বার্তা।
দেব বলেন, এর আগে সিনেমাটির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় জাতীয় স্তরের পুরস্কার পেয়েছেন। তবে হিন্দি সিনেমার জন্য। এই সিনেমা দিয়ে বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখলেন তিনি। আমার বিশ্বাস, ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ তাকে আরও একটি জাতীয় স্তরের পুরস্কার এনে দেবে।
দেব এবং রুক্মিণী মৈত্রের বাস্তবের ও পর্দার রসায়ন যেনো সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলেছে। দেবের সাম্প্রতিক ছবি ‘খাদান’ ইতিমধ্যেই বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে এবং এর ঠিক পরেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে রুক্মিণীর ‘নটী বিনোদিনী’। দেব নিজে সিনেমার প্রযোজক হলেও, রুক্মিণীর অভিনয় তাকে হিংসে করাচ্ছে- এমনটিই হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে স্বীকার করেছেন তিনি।
সিনেমাতে রুক্মিণীর সঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (গিরিশ ঘোষ), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (গঙ্গাবাই), রাহুল বোস (রাঙাবাবু) ও মীর আফসার আলি (গুর্মুখ রায়) প্রমুখ গুণী অভিনেতারাও রয়েছেন, যা সিনেমার প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। রুক্মিণী অল্প সময় বিনোদিনী দাসীর জটিল চরিত্রে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন, যা দেবের মতেও, ঈর্ষণীয়।
সিনেমাটির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় এই চরিত্র ও গল্পকে জীবন্ত করে তোলার জন্য দেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তার মতে, “ঝলক দেখার পর উপস্থিত দর্শকদের নীরবতা থেকে বোঝা যায় যে, রুক্মিণী তার অভিনয়ে সম্পূর্ণ সফল। দেবের ওপর ভরসা রেখে এই প্রজন্মের জন্য “নটী বিনোদিনী’র জীবনকে জীবন্ত দলিল হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টাও করেছেন রামকমল। জানা গেছে, আগামী ২৩ জানুয়ারি এই সিনেমাটি পাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org