দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র সাথে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট সেবা নিয়ে আসছে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা।

এই সেবার মাধ্যমে দ্রুতগতিতে এবং সাশ্রয়ী খরচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদিত খাতে টাকা পাঠানো যাবে। এপিআই-ভিত্তিক ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট প্রসেসিং -এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী মাধ্যম। এই সেবা গ্রাহকদের ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করার ক্ষেত্রে ভিসার ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ। দ্রুতগতির, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য এই সেবা টিউশন ফি, চিকিৎসা ও ভ্রমণ বাবদ ব্যয়বহুল এবংও বিলম্বিত পেমেন্টের মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমাধান প্রদানে সহায়তা করবে। ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুততর করবে, লেনদেনের খরচ কমাবে এবং সার্বিকভাবে পেমেন্ট প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে। যেসব ব্যাংক ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট সেবা প্রদান করবে, তারা আরও বেশি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবে, বাজারে অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে এবং তাদের মুদ্রা বিনিময় সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি, এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ভিসার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ এবং মেঘনা ব্যাংক পিএলসির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহসান খলিল চুক্তিপত্রটি সাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, “আমরা মেঘনা ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ এবং দক্ষ ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে। ভিসার বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক এবং উন্নত পেমেন্ট সমাধানের মাধ্যমে আমরা মেঘনা ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। এ উদ্যোগ বাংলাদেশে আরও কার্যকর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যের প্রতিফলন।”
কাজী আহসান খলিল বলেন, “ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের রিটেইল গ্রাহকদের জন্য আরও কার্যকর এবং উদ্ভাবনী পেমেন্ট সমাধান নিশ্চিত করতে পারব। এই উদ্যোগ সবার কাছে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ও আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধিতে আমাদের লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হবে।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org