দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্যান্সার একটি দূরারোগ্য তা আমরা জানি। এই দূরারোগ্য ক্যান্সারের অনেক ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। এবার গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন সঙ্গীতথেরাপী এই ক্যান্সার দূর করার মহৌষধ হতে পারে।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারও সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে এর চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি রোগীর জন্য কষ্টকরও বটে। ক্যান্সারের মতো জটিল চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই রোগীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা শোনাচ্ছেন নতুন আশার সংবাদ। গবেষকরা বলছেন, সঙ্গীতথেরাপি প্রয়োগ করে কিশোর ও তরুণ ক্যান্সার রোগীরা জটিল চিকিৎসার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, যা আরোগ্য লাভের ভিত্তি হিসেবে বিশেষভাবে কাজ করতে পারে।
বিবিসির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব নার্সিং-এর গবেষকরা ১১ থেকে ২৪ বছর বয়সী একদল ক্যান্সার রোগীর ওপর এই সঙ্গীতথেরাপি প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছেন। ওই রোগীদের সবারই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ স্টেমসেল প্রতিস্থাপনের মতো চিকিৎসা চলছিল। থেরাপি প্রয়োগের পর তারা অনেকটাই নিরোগ বোধ করেন এবং তাদের বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কেরও উন্নতি হয়। অর্থাৎ তারা সুস্থ মানুষের মতো সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, গবেষকরা কিশোর ও তরুণ রোগীদের তিন সপ্তাহ সময় দিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে দেন। মিউজিক ভিডিওর গানের কথা লেখা থেকে শুরু করে সঙ্গীতায়োজন, রেকর্ডিং, ভিডিও ইমেজ সংগ্রহসহ সবই তাদের করতে হয়। এই প্রসেসটি একজন দক্ষ সঙ্গীত-থেরাপিস্ট পুরো ব্যাপারটির তত্ত্বাবধান করেন। মিউজিক তৈরির পর মিউজিক ভিডিওটি তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে দেখানো হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, থেরাপি নেওয়া গ্রুপটি অন্যদের চেয়ে বেশি চিকিৎসার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশি সক্ষম। এমনকি একশ’ দিন পরও তারা একই রকম স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
গবেষকরা আরও গবেষণা চালাচ্ছেন এই বিষয়টি নিয়ে। তারা আশাবাদি এই সঙ্গীতথেরাপীর মাধ্যমে ক্যান্সার রোগি বিশেষ করে তরুণ রোগিরা সেরে উঠতে পারবে।