দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুবই বিস্ময়কর বিষয়। পকেটের মধ্যে থাকবে আমান একটি ঘর! তাও কী সম্ভব? এই প্রশ্ন আসাটায় স্বাভাবিক। তবে ঘটনাটি সত্যি। অন্তত ছবি দেখলে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।
প্রথমে বিষয়টি শুনলে কল্পনা ছাড়া কিছু নয় বলেই মনে হবে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি সত্যি। যেমন ধরুন, আপনার নিজের কোনো বাড়ি-ঘর নেই, যাযাবরের মতো বসবাস করেন। কিংবা আপনি কোনো গহীন জঙ্গলে বেড়াতে যাবেন, সেখানে আপনার রাত্রী যাপন করার দরকার। তখন আপনি এমন পকেট ঘরটি পকেটে ভরে নিয়ে যেতে পারেন। হয়তো আপনার কাজে লেগেও যেতে পারে। হয়তো দেখা যায় ভাড়া বাসায় আয়ের অর্ধেকটাই চলে যায়, তাই এটাও ছেড়ে দিলেন। তাহলে আপনিত থাকবেন কোথায়? এবার বাসস্থান রয়েছে আপনার পকেটেই! পকেট থেকে ভাঁজরা নিজের অ্যাপার্টমেন্টটা খুলে ফললেন- ব্যাস! এখন সেখানে বিশ্রাম কিংবা ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে আপনার নিজের ঘর।
এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছেন ডিজাইনার মার্টিন আজুয়া। বার্সেলোনায় বসবাসরত ডিজাইনার তিনি। তিনি বানিয়েছেন ‘বেসিক হাউজ’। বাইরের ধুলা-বালি এবং রোদ-বৃষ্টি বা শীত হতে বাঁচতে এই ঘরটি নিজের পকেটে নিয়েই চলাচল করতে পারবেন অনায়াসে।
এটি মূলত ছোটখাটো একটি ঘর যা অনেকটা তাবুর মতোই মনে হবে। মূলত একটা গোলাকার তাবু তৈরি হবে এটি খুলে ফেললে। কৌশলের সঙ্গে এই ঘর তৈরির উপাদান বানানো হয়েছে। শীতের সময় ঘরের ভেতরে উষ্ণ ও গরমের সময় শীতল তাপমাত্রা বজায় রাখবে এই নতুন আবিষ্কৃত ঘরটি।
চলে গেলেন যেখানে খুশি। সেটি হতে পারে খাগড়াছড়ি কিংবা সুন্দরবন, বা সিলেটের জাফলং। আপনার পকেট থেকে বের করে ভাঁজ খুলে ঘরটিকে প্রস্তুত করে বেশি কিছু করতে হবে না আপনাকে। স্রেফ খুলে কিছুক্ষণ ঝাঁকাতে থাকুন। বাতাস ভরে ঠিক বলের মতো ফুলে উঠবে এটি। উদ্ভাবক মার্টিন তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন যে, এই ঘনক্ষেত্রটি থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক। কিছুই নেই, থাকার জন্য সব ব্যবস্থাই রয়েছে এতে। বেসিক হাউজ আসলে কোনো পণ্য নয়, বরং এটি বাহুল্য বর্জনের চূড়ান্ত একটি উদাহরণ বলা যায়। বিপদের সময় মানুষের সঙ্গীও বলা যাবে এই ঘরটিকে!