দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ার ৩১ বছর বয়সী থিয়ান সি শিয়েন ১১২টি দেশের জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন। কেবল মালয় ও ইংরেজি ভাষা জানলেও এতোগুলো ভাষার গান তিনি মুখস্ত করেছেন!
মালয়েশিয়ার এই নাগরিক পেশায় একজন আইনজীবী। শিয়েন ২০০২ সালে শখ করে জাতীয় সংগীত শিখতে শুরু করেন। তারপর একে একে এশিয়া, ইউরোপ এবং দক্ষিণ – উত্তর আমেরিকার প্রায় সব দেশের জাতীয় সংগীত শিখে নিয়েছেন।
শিয়েন দাবি করে বলেছেন, প্রায় হুবহু সুরে তিনি ১১২টি জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় সংগীতও তিনি শিখেছেন, যেটি মূলত পাঁচটি ভিন্ন ভাষায় গাইতে হয়। ড্যানিশ ও আরবি সুর রপ্ত করতে অবশ্য তাঁর বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে ফরাসি, স্প্যানিশ ও জার্মান কিছুটা সহজ মনে হয়েছে থিয়ান সি শিয়েনের।
শিয়েন এখনেও নতুন নতুন জাতীয় সংগীত সংগ্রহ করছেন ও শিখছেন। কারণ, পাঁচটি মহাদেশের প্রতিটি দেশের জাতীয় সংগীতই তিনি শিখে নিতে চান। এই বিশেষ দক্ষতার জন্য বিশ্বজুড়ে অনেক বন্ধুও পেয়েছেন তিনি। শিয়েন পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যে, সেখানে আরও অনেক দেশের ছাত্র-ছাত্রীকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন।
গানের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সুর শুনে শুনে আয়ত্ত করার দক্ষতা তাঁর রয়েছে। তাঁর আইকিউ বা বুদ্ধিমত্তার মাত্রা ১৭৬, যা কিনা ‘অসাধারণ প্রতিভাধর’ কিংবা তার কাছাকাছি পর্যায়ের। হয়তো এই কারণেই তিনি এতোগুলো ভাষার গান ও সুর মনে রাখতে পেরেছেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের একটি তেল ও গ্যাস কোম্পানিতে আইনি পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিয়েন। তিনি বলেছেন, জাতীয় সংগীত শিখতে গিয়ে তিনি ইতিহাসের অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন। যেমন- ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা একই ব্যক্তি- কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
একমাত্র বাকি আছেঅ্যান্টার্কটিকা মহাদেশই, যার কোনো দেশের জাতীয় সংগীত এখনও শেখেননি শিয়েন। তবে তাও রপ্ত করতে চান তিনি।