দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কে ফরাসি গবেষকদের চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, ‘ভিয়েতনামের কারাগারে মৃত্যু হয়েছে নেতাজির’।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে নতুন রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিয়েতনামের কারাগারের মৃত্যু হয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর- এমন দাবি করেছেন প্যারিসের ইতিহাসবেত্তা জেবিপি মোর।
শুধু এই তথ্য দিয়ে ক্ষান্ত হননি, ফরাসি সেনাবাহিনীর একটি গোপন ফাইল নেতাজির মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে ১০০ বছরের জন্য সেই ফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেবিপি মোর।
প্যারিসের ইনস্টিটিউট দে হতে এতুদে ইকনোমিকস এত কমার্শিয়েলস-এর অধ্যাপক জেবিপি মোর বলেছেন, ‘বহু বছরের গবেষণার পর আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সাইগোন-এ শেষ জীবন কেটেছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর। খুব সম্ভবত অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে ভিয়েতনামের বোট ক্যাটিনাট জেলে মৃত্যু হয়েছে তার। ফরাসি সিক্রেট সার্ভিসের রেকর্ড হতে এই তথ্য আমি পেয়েছি। সুভাষ চন্দ্র এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সাইগোনে থাকা সংক্রান্ত একটি ফাইল রয়েছে। তবে ফরাসি সেনার হাতে থাকা সেই ফাইলটি আমাকে দেখতে দেওয়া হবে না বলে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এতে আমি যেমন অবাক হয়েছি, তেমনই নিশ্চিত হই যে আমার ধারণাটিই সঠিক। ১৯৪৫-এর সেপ্টেম্বরে সাইগোন-এ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন সুভাষ চন্দ্র বসু।’
ওই গবেষক আরও বলেন, এখন ভারত সরকারের দায়িত্ব ফ্রান্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ওই ফাইলটি প্রকাশ করা। এই ফাইলে অবশ্যই নেতাজির শেষ জীবনের কথা নথিবদ্ধ রয়েছে বলে দাবি করেছেন জেবিপি মোর। নেতাজির মৃত্যু যে কখনই বিমান দুর্ঘটনায় হয়নি, তাও জোর দিয়ে বলেছেন তিনি। টোকিওতে যে চিতাভষ্ম নেতাজির বলে দাবি করা হয়ে থাকে, তার কখনও ডিএনএ পরীক্ষাও করানো হয়নি। মোর আরও দাবি করেন, তার থেকেই এটা প্রমাণিত হয় যে ওই চিতাভষ্ম কখনই নেতাজির ছিলো না।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু না হলে নেতাজি চীন কিংবা রাশিয়ায় হয়তো চলে গিয়েছিলেন, এ রকম কথা আগে থেকেই প্রচলিত আছে। সেটিও উড়িয়ে দিয়েছেন জেবিপি মোর। আসল ঘটনা হতে দৃষ্টি সরাতেই এই ধরনের ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে বলেই দাবি করেছেন জেবিপি মোর।