দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজেকে বর্ণবাদী নয় বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাইতি, এল সালভাদর এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে নিয়ে খুবই ‘নোংরা ও বর্ণবাদী’ মন্তব্য করার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা শুরু হয়।
হাইতি, এল সালভাদর এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশ নিয়ে খুবই ‘নোংরা ও বর্ণবাদী’ মন্তব্য করার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় শুরু হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি ‘বর্ণবাদী’ নন।
ডোনাল্প ট্রাম্প সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি কখনও বর্ণবাদী নই। আপনারা এই পর্যন্ত যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তাদের মধ্যে আমিই সবথেকে কম বর্ণবাদী!’
১২ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে অভিবাসন নীতি নিয়ে এক বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব দেশকে ‘শিটহোল’ কিংবা ‘পায়খানার গর্তে’র সঙ্গে তুলনা করেন- যা মার্কিন কয়েকটি গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। তাঁর এই বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আফ্রিকান ইউনিয়নের পক্ষ হতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচারের পর থেকেই ট্রাম্প একের পর এক টুইটে দাবি করতে থাকেন যে, তিনি আসলে এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি।
বৈঠকে থাকা ডেমোক্রেট দলীয় একজন সিনেটর ডিক ডারবিন দাবি করেছেন যে, প্রেসিডেন্টকে বর্ণবাদী শব্দ একবার নয়, কয়েকবারই ব্যবহার করেছেন। তিনি কিছু আফ্রিকান দেশকে ‘শিটহোল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, গতকাল প্রেসিডেন্ট যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে, ওভাল অফিসে বসে এর পূর্বে কখনও আর কোনো প্রেসিডেন্ট তা বলেছেন কি না’।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সিনেটরদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা ওই বৈঠকের একপর্যায়ে অভিবাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ কিংবা এই রকম বিপর্যয়ের শিকার দেশগুলোর মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত হবে নরওয়ের মতো দেশ হতে অভিবাসী আনা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন করে বলেন, “এই সব ‘শিটহোল’ দেশ থেকে কেনো লোকজনকে আমাদের দেশে আনতে হবে?”
হাইতির অভিবাসীদের সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘হেইশিয়ান? আমাদের কি আসলে আরও হেইশিয়ানের দরকার রয়েছে?’
ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক টুইট করে এই রকম কিছু বলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি হাইতির মানুষ সম্পর্কে বাজে কিছুই বলিনি।’
বোতসোয়ানা সেদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এসব কথাবার্তা চরম দায়িত্বহীন, নিন্দনীয় ও বর্ণবাদী।
আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারাও বলেছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য শুনে শংকিত। তারা তাঁকে এজন্য দুঃখ প্রকাশেরও আহ্বান জানিয়েছেন।