দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাইটানিকের কথা আমাদের সকলের জানা। সেই বিশাল জাহাজকে ছাড়িয়ে যাবে নতুন একটি বিলাশবহুল জাহাজ ক্রুজপিশ। টাইটানিকের থেকেও পাঁচগুণ বড় বিলাসবহুল জাহাজ ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’!
বিলাসবহুল জাহাজের কথা উঠলেই প্রথমেই চলে আসে টাইটানিকের নাম। কিন্তু ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এর আয়তনের কাছে টাইটানিক যে নেহাত একটি শিশু ছাড়া কিছু নয়। টাইটানিকের তুলনায় ৫ গুণ বড় ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’। ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টন ওজনের এই জাহাজটির লম্বা ১১৮৭ ফুট, চওড়া ২০৮ ফুট। পানির নীচে প্রায় ৩০ ফুট কাঠামো রয়েছে এই জাহাজটির।
‘এসটিএক্স ইউরোপ’-এর তৈরি এই যাত্রীবাহী জাহাজটির মালিকানা রয়্যাল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের হাতে। জানা যায়, এই জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় দেড়শো কোটি ডলার। যা বাংলাদেশী মূল্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার উপরে। ২০০৬ সালে ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এর নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম পানিতে নামে বিলাসবহুল এই জাহাজটি। ২০০৯ সাল হতে যখন প্রথম বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে তখন আয়তনের বিচারে ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’ ই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজ। এখন অবশ্য বৃহত্তমর শিরোপা দখল করেছে রয়্যাল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রমোদতরী। যার নাম ‘হারমোনি অব দ্য সিজ’। ২০১৭-র জুনে পানিতে ভাসে এই জাহাজটি। এটি ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এর চেয়ে মাত্র আড়াই ফুট লম্বায় বেশি।
২২ তলাবিশিষ্ট এই জাহাজটিতে রয়েছে ১৬টি ডেক ও ২,৭০০টি বিলাসবহুল কেবিন। মোট ৫ হাজার ৪শত যাত্রী বহনে সক্ষম জাহাজটিতে রয়েছে মোট ২,১০০ জন কর্মী। জাহাজের পিছনের অংশে রয়েছে ৭৫০টি আসন বিশিষ্ট থিয়েটার, রয়েছে ৪টি সুইমিং পুল।
একটি ভাসমান উদ্যানও রয়েছে ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এ। যেখানে ১২ হাজার চারা গাছ ও ৫৬টি বড় গাছ আছে। মোট ৭টি ভাগে বিভক্ত ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এ রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, রেস্তরাঁ, একাধিক পানশালা, ক্যাসিনোসহ একাধিক বিনোদন কেন্দ্র।
‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’-এ চড়ে উত্তর ক্যারিবিয়ান সাগরে মোট ৯ রাত, ৯ দিন ঘুরতে হলে আপনাকে গুণতে হবে ১,৪৫৮ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক লাখ টাকা। এই প্রমোদতরীটির সি ফেসিং স্যুটগুলির ভাড়া ৩,২০০ মার্কিন ডলার যা প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার টাকা।