দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। প্রতিনিয়ত আবিষ্কৃত হচ্ছে মহাবিশ্বের নানা আজব ঘটনা। আজ আমরা এই আজব মহাবিশ্ব সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো।
১। মহাশূন্যের গন্ধটা কেমন?
কখনো কি ভেবেছেন, এই যে মহাশূন্যের ঘ্রাণ কেমন? তবে কিছু কৌতুহলী মানুষের মনে ঠিকই এই প্রশ্ন জেগেছে। আর তারা বিভিন্ন মহাকাশচারীদের অভিজ্ঞতা শোনার পর এর উত্তর বের করেছেন। ওয়েল্ডিঙের কাজের সময় এর আশেপাশে থাকলে যে ঘ্রাণ পাওয়া যায়, মহাশূন্য বা স্পেসের গন্ধটা ঠিক একই রকম।
২। মৃত নক্ষত্রের কী আলো আছে?
যে সমস্ত নক্ষত্র আর আলো বিকিরণ করে না তাদেরকে মৃত নক্ষত্র বলে। রাতের পরিষ্কার আকাশে আমরা যে অসংখ্য নক্ষত্র দেখি, তাদের অনেকেই হয়তো মৃত। আলো বিকিরণ করতে করতে, ধীরে ধীরে তারা নিঃশেষ হয়ে গেছে। তাহলে একটি প্রশ্ন জাগে যদি তারা মৃতই হয়, রাতের আকাশে তাদেরকে আমরা কীভাবে দেখি?
কারণ এসব নক্ষত্রের বেশিরভাগই আমাদের থেকে শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে । সেখান থেকে আলো এসে পৌঁছাতে তো সময় লাগবেই। বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বে ওই সকল নক্ষত্রগুলো জীবিত থাকা অবস্থায় তাদের নিঃসৃত আলো আমরা এখন রাতের আকাশে এই এতদিন পরে দেখছি।
৩। মহাকাশে পানি ফোটানো
সচরাচর পানি ফুটানোর সময় আমরা কী দেখি? বুদবুদ আকারে অনেকগুলো পানির ফোঁটা বুদবুদ আকারে পাত্রের উপরের দিকে উঠে আসছে। কিন্তু কেউ যদি মহাকাশে যেয়ে কোনোভাবে পানি ফোটানোর চেষ্টা করে, তাহলে কিন্তু এ ঘটনা ঘটবে না। অনেকগুলোর পরিবর্তে একটামাত্র দানবাকৃতির বুদবুদ উঠে আসবে।
৪।উত্তপ্ত বরফ
পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৩ আলোকবর্ষ দূরে একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যার পুরো পৃষ্ঠটাই নাকি “Burning Ice” এ আবৃত। আসল ঘটনাটা হচ্ছে, এই গ্রহের পৃষ্ঠে প্রচণ্ড চাপের কারণে পানি কঠিন অবস্থায় বা বরফে রূপান্তরিত হয়েছে, আর গ্রহ পৃষ্ঠে তাপমাত্রা অনেক বেশি বলে এই জমাট বরফ থেকে বাষ্প নির্গত হয়। তাই বিজ্ঞানীরা একে বলছেন “Burning Ice” বা উত্তপ্ত বরফ।