দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেয়েদের শরীরি বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে আলোচনাটা মনে হয় লজ্জার বিষয়। কিন্তু এই বিষয়গুলো আলোচনা না করে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেকেই মনে করেন ঋতুস্রাব না হলেই মনে হয় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। আসলে তা নাও হতে পারে।
সময় মতো ঋতুস্রাব শুরু হয়নি বলে এ মাসে আপনাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে? এ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তাতেও ভুগে থাকেন। কেনোনা, অনেকেরই চিন্তা-ভাবনা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়েছে বিধায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। তবে কী তাই? এর পেছনে অন্য কোনো কারণওতো থাকতে পারে। তাই প্রথমেই উল্টা-পাল্টা না ভেবে সেই সকল দিক নিয়েও ভেবে দেখা দরকার। ঋতুস্রাব শুরু না হওয়ায় প্রেগনেন্সি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে অন্য কারণগুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখতে হবে।
মানসিক চাপ
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, মানসিক চাপের বিষয় ঘটে। সময় মতো ঋতুস্রাব অধিকাংশ মেয়েরই শুরু হয় না। কাজের চাপ কিংবা অন্যান্য মানসিক চাপের জন্য যদি মন অস্থির থাকে তাহলে এর প্রভাব শরীরের উপরেও পড়তে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
হরমোনের ওঠানামার সমস্যার কারণে অনেকের ঋতুস্রাব সময় মতো হয় না। মুখে লোম গজানো ও হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া এই অসুখের খুব পরিচিত একটি উপসর্গ। যার প্রভাবে অনেক সময় ঋতুস্রাবের উপর পড়ে থাকে।
থাইরয়েড
থাইরয়েড সমস্যা থাকলে শরীরে বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তারমধ্যে সঠিক সময় ঋতুস্রাব না হওয়া অন্যতম সমস্যা। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হতে হরমোনের ওঠা-নামার কারণে হাইপারথাইরয়েডিজম কিংবা হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এটি মেয়ে বা মহিলাদের মধ্যে অনেক সময়ই দেখা দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।