দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বকের যত্ন নিতে আলাদা করে শরীরচর্চা করার কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না। তাই ভরসা করেন বিভিন্ন প্রসাধনীর উপর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় নানা সমস্যা।
ত্বকের মসৃণতা এবং জেল্লা হারাতে থাকে বয়স ৪০ পেরোনোর পর হতেই। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে দেয়। তখন বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ত্বক খসখসে হয়ে যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্যেই নিত্য ব্যস্ততার মধ্যে শরীরচর্চার জন্য পৃথক করে সময় বের করা হয়ে ওঠে না। ত্বকের যত্ন নিতে পৃথকভাবে শরীরচর্চা করার কথা অনেকেই ভাবতেওপারেন না। তাই ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর উপর নির্ভর করে থাকেন। খাদ্যাভ্যাসে বদল আনেন অনেকেই। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সহজে কাজে আসতে পারে মাত্র ৩টি যোগাসন।
হলাসন
প্রথমেই চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এখন কোমরে ভরদিয়ে পা দুটি ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। পা যেনো ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দুটিকে মাথার উপর দিয়ে তারপর পিছনের দিকে নিয়ে যান। এখন পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলতে থাকুন যাতে করে পায়ের আঙুলগুলো মাটি স্পর্শ করে। এখন বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসুন। হাতের তালু পিঠ এভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই আসন কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
সর্বাঙ্গাসন
হলাসনের মতোই এই আসনটি করার ক্ষেত্রে প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর পিঠের উপর ভর দিয়ে দু’হাতের তালুর সাহায্যে কোমর এবং পা দু’টি উপরে তুলে ধরুন। এখন কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন একেবারে তালুর উপর। কাঁধ, কোমর এবং পায়ের পাতা যেনো এক সরলরেখায় থাকে- সেদিকে খেয়াল রাখুন। বুকের সঙ্গে থুতনি স্পর্শ করে দৃষ্টি স্থির করুন সরাসরি পায়ের পাতার দিকে। কিছু সময় এই অবস্থায় থাকতে হবে। মিনিট দু’য়েক পর ধীরে ধীরে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বকাসন
বকাসন। এই আসনটি করার জন্য প্রথমেই হাঁটু মুড়ে বসুন। তারপর মাথা নামিয়ে এনে মাটিতে ঠেকান। এখন হাতের তালু থেকে কনুই পর্যন্ত অংশে ভর দিয়ে পা দু’টি একসঙ্গে রেখে হাঁটু মোড়া অবস্থাতে মাটি হতে তুলুন। দেহের সম্পূর্ণ ভর রাখতে হবে হাতের কব্জির উপর। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকার পর আস্তে আস্তে আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।