দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। আর চটজলদি নাস্তা বানাতে হলে ডিমের অমলেট দিয়েই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান।
ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম। প্রাতরাশে ডিম খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এই ডিমে থাকা ভিটামিন, নানা প্রকার খনিজ এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান ওজন ঝরাতেও ভীষণ কার্যকর। শরীরের ক্যালোরি ঝরিয়ে রোগা হতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অনায়াসেই রাখতে পারেন ডিম।
# অনেকেই মনে করেন যে, ডিমের কুসুম খেলে মনে হয় ওজন বেড়ে যাবে! কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। শুধু অমলেট দিয়েই যদি আপনি প্রাতরাশ করতে চান, তাহলে দু’টি ডিমের সাদা অংশ ও একটি গোটা ডিম একসঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। একটি ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রায় চার গ্রাম প্রোটিন। কুসুম এবং সাদা অংশ মিলিয়ে আনুমানিক ৬’গ্রাম প্রোটিন থাকে। শুধু তাই নয়, ডিম ভিটামিন বি, ডি, ক্যালশিয়াম, আয়রণের মতো খনিজেও ভরপুর থাকে। যে কারণে ডিম খেলে পেট ভরবে এবং সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যরক্ষাও হবে।
# ডিমের মধ্যে বিভিন্ন রকম সব্জি মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরে প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে ফাইবারও ঢুকবে। পেঁয়াজ, টমেটোর পাশাপাশি অমলেট বানানোর সময় পালং শাকও দিতে পারেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পালং শাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এতে ক্যালোরির পরিমাণও একেবারেই কম। টমেটো দিলে পালং শাকের মধ্যে থাকা আয়রণ শরীরে বেশি মাত্রায় শোষিত হবে। যে কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও তখন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
# আবার চাইলে অমলেটে ক্যাপসিকামও মিশিয়ে নিতে পারেন। ভিটামিন সি, কে, এ এবং ফাইবারে ভরপুর এই সব্জি অমলেটে মেশালে পেট বেশি সময় ভরা থাকবে। এতে ক্যালোরির মাত্রাও অনেক কম। স্বাদ বাড়াতে ইচ্ছে করলে অমলেটে ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন।
# ডিমের অমলেটের মধ্যে পানিতে ভিজে রাখা ওট্স দিতে পারেন। মেদ ঝরাতে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া দরকার। ওটমিলে ক্যালোরি পরিমাণ প্রায় থাকে না বললেই চলে। ডিমের অমলেটের সঙ্গে ওটস মিশিয়ে খেলে বিপাক হার আরও বেড়ে যায়। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।