দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায়, লিফ্ট চালু হওয়ার মুহূর্তে কিংবা থামার সময় ভিতরে দাঁড়ানো কারও কারও মাথা কিছুটা ঝিমঝিম করে ওঠে। কিন্তু কেনো এমন হয়?
নগর সভ্যতা যতো আধুনিক হচ্ছে, ততোই বাড়ছে বহুতলের সংখ্যাও। বহুতলে ওঠা-নামা করতে সবচেয়ে বড় ভরসা হলো লিফ্ট। আরামদায়ক হলেও অনেক সময় দেখা যায়, লিফ্ট চালু হওয়ার মুহূর্তে কিংবা থামার সময় ভিতরে দাঁড়ানো কারও কারও মাথা কিছুটা ঝিমঝিম করে ওঠে। অথচ লিফ্ট দাঁড়িয়ে থাকার সময় এই ধরনের কোনও সমস্যা কখনও হয় না। আপনি কী জানেন কেনো এমনটি ঘটে?
এই গোটা বিষয়টির পিছনেই রয়েছে বিজ্ঞানের সহজ কিছু সূত্র। বিজ্ঞানী নিউটনের সূত্র মতে, যখনই কোনও বস্তু স্থির থাকে, তখনই সেটি সব সময় স্থিরই থাকতে চায়। আবার যখন কোনও বস্তু গতিশীল অবস্থায় থাকে তখন সেটি নিজের গতিশীলতা বজায় রাখতে চায়। বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বলে। যখন লিফ্ট উপরের দিকে উঠা শুরু করে, তখন আচমকা স্থির অবস্থা থেকে গতিশীল হয়ে পড়ে লিফ্ট। যে কারণে ভিতরে থাকা যাত্রীদেরও গতির পরিবর্তন ঘটে। ওই মুহূর্তে ক্ষণিকের জাড্য ধর্মের কারণে মাথায় রক্ত পরিবহণের মাত্রাও কমে যায়। মাথায় রক্ত সঞ্চালন কমে গেলেই তখন ঝিমঝিম করে ওঠে মাথা। অনেক সময় বসা অবস্থা থেকে দ্রুত উঠে দাঁড়ালেও এমনই ঘটনা ঘটে।
তবে শুধুমাত্র এই একটি কারণই নয়। আরও কয়েকটি কারণেও মাথা ঝিমঝিম কিংবা মাথা ঘোরানোর মতো অনুভূতি দেখা দিতে পারে লিফ্টে চড়াকালীন সময়। মানবদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ককলিয়া। এটি আমাদের কানের একেবারে ভিতরের দিকেই থাকে। এই অঙ্গে এক ধরনের তরলও থাকে। সেই তরল আসলে কোন দিকে হেলছে, তা থেকেই মানুষ সঠিক ভারসাম্যের ইঙ্গিত পেয়ে থাকেন। লিফ্টের ওঠা-নামার সময় এই তরলে যে দোলা লাগে, তাতে কিছুটা ভারসাম্যহীনতার সঙ্কেতও পায় মস্তিষ্ক। আবার কারও বদ্ধ জায়গার হাঁসফাঁস লাগার মতো সমস্যা কিংবা ক্লসট্রোফোবিয়া থাকলেও লিফ্টে মাথা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা তখন দেখা দেয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।