দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি খুলনায় ‘সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ফর সাস্টেইনেবিলিটি: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জিআইজেড র ইম্প্রুভড কোঅর্ডিনেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) প্রকল্প ও বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। খুলনায় অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ ও বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিসের ৩০ জন কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ যাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আভ্যন্তরীন উৎস হতে জলবায়ু তহবিল সংগ্রহ করতে পারে সেই লক্ষ্যে আইসিআইসিএফ প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে দেশের ব্যাংকিং খাতে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টকে সহায়তা করা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভাগীয় পর্যায়ের ব্যাংকারদের এবিষয়ক সক্ষমতা বাড়াতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জিআইজেড’র প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার ড. ফেরদৌস আরা হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যে দেশের টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন লাভের জন্য প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।
টেকসই অর্থায়ন, পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, মনিটরিং ও রিপোর্টিং পদ্ধতি সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর সেশন পরিচালনা করেন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এর অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
প্রশিক্ষণ শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিসের নির্বাহী পরিচালক জনাব এস এম হাসান রেজা অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন। তিনি তার সমাপনী বক্তব্যে স্থানীয় পর্যায়ের ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রিন ব্যাংকিং এবং সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এই ধরণের আয়োজন ভবিষ্যতে আরোও করার জন্য অনুরোধ জানান।
ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খুলনার স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য একই বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের বক্তারা বিনিয়োগকারীদের জন্য পরিবেশ-বান্ধব বিনিয়োগের সুফল এবং এধরণের বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রচলিত বিভিন্ন পুনঃঅর্থয়ান সুবিধার উপর আলোকপাত করেন। এরপর অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় প্রেক্ষাপটে টেকসই বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।