দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বলছেন যে, নতুন করে বাজারে আসা বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই।
স্বাস্থ্যনীতি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কায়সার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের (কেএফএফ) এক জরিপে এই তথ্য উঠে আসে।
ওই জরিপ কাজে অংশ নেওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বলেছেন রেয, তারা ইতিমধ্যে নতুন বুস্টার ডোজের তথ্য পেয়েছেন ও তারা তা নেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। মডার্না এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের একটি টিম বাইভ্যালেন্ট বুস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা করে, যেটি বিএ.৫ ও বিএন.৪ ওমিক্রন মোকাবিলায় কার্যক্রর ভূমিকা রাখবে।
গত আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ ফাইজার এবং মডার্নার এই বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেয়। জরিপের মাধ্যমে জানা যায়, ১৮ শতাংশ নাগরিক বলেছেন যে, তারা অপেক্ষা করবেন ও দেখতে চাইছেন যে, তারা নতুন বুস্টার ডোজ আদতে পাবেন কি না। যেখানে ১০ শতাংশ মনে করেন যে, প্রয়োজন হলে তখন তারা এটি নেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ শতাংশ নাগরিক বলছেন যে, তারা এটি নিতেই চান না। ২৭ শতাংশ বলেন যে, তারা এই বুস্টার ডোজ নেওয়ার উপযোগীই নন। কারণ তাদের কোনো টিকায় সম্পূর্ণ হয়নি। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, নতুন বুস্টার ডোজ আসার প্রথম চার সপ্তাহের মধ্যে ৭৬ লাখ মানুষ গ্রহণ করেছেন। এই সংখ্যা দেশটির ২১ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। ১২ বছরের বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য; কারণ হলো তারা প্রাথমিক ডোজ সম্পন্ন করেছে।
এই জরিপের তথ্য আরও বলছে, নতুন ভ্যাকসিন সম্পর্কে সচেতনতা অনেক কম। মাত্র অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক বলেছেন যে, তারা বুস্টার সম্পর্কে কিছুটা শুনেছেন। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বলেছেন যে, তারা এখনও নিশ্চিত নন যে, তাদের জন্য নতুন কোনো বুস্টার ডোজ সুপারিশ করা হয়েছে কি না। যেখানে ১২ বছর কিংবা তার বেশি বয়সি সমস্ত সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য সুপারিশ করে ডিসডিসি।
উল্লেখ্য, ১৫ হতে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেএফএফ-এর করা এই জরিপে অংশ গ্রহণ করেন ১, ৫৩৪ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।