দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে যায় তা বলা মুশকিল। রানা ঘাটের রানু মণ্ডলের মতো এবার ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। তবে জেল খানায়। জেলের ভেতর আসামির গাওয়া গান ভাইরাল হলে বলিউডে ডাক পেলেন এক ব্যক্তি!
এমন একটি ঘটনা ঘটেছে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে। নেশা করে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি বিহারের পুলিশ তাকে আটক করেছিল। জেলের ভেতরই আপনমনে গান ধরেন তিনি। সেই গান রাতারাতি ভাইরাল হলো। যে কারণে তার ডাক পড়েছে সরাসরি বলিউড থেকে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেছে, ২৪ বছরের যুবক কানহাইয়া কুমার ভারতের বিহারের কৈমুর জেলার বাসিন্দা। গত সপ্তাহে প্রতিবেশী রাজ্য উত্তর প্রদেশের সীমান্ত হতে প্রবেশের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে বক্সর থানা পুলিশ। ওই সময় কানহাইয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারপর বক্সরের সদর থানায় বন্দি ছিলেন এই যুবক। সেখানে জেলের ভেতরে বসে গলায় সুর তোলেন কানহাইয়া। ভোজপুরী গায়ক পবন সিংহের একটি জনপ্রিয় গান উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠেন তিনি। গানটি ছিলো ‘দারোগাজি হো , চার দিন পিয়বা ওয়া নাপাতা’। এর অর্থই হলো ‘স্বামী চার দিন ধরে নিখোঁজ’। গানটি বিহার-উত্তর প্রদেশে বিপুল জনপ্রিয় হলেও কানহাইয়াকে নিয়ে হইচইয়ের কারণ কিন্তু ভিন্ন।
মূলত যেভাবে খালি গলায় জেলের ভেতরে বসে তিনি গান গেয়েছেন, তাতেই মজেছেন নেটিজেনরা। শুধু তারাই নয়, গান শুনে মুগ্ধ ভারতের সঙ্গীত জগতের নামিদামি ব্যক্তিরা।
দেওরিয়ার বিধায়ক এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাবেক মিডিয়া পরামর্শক শলভমণি ত্রিপাঠী কানহাইয়ার ভিডিওটি টুইট করার পর পরই শোরগোল পড়ে যায়। তার সেই পোস্ট রিটুইট করে কানহাইয়াকে নিজের স্টুডিওতে গান গাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অঙ্কিত তিওয়ারি।
‘আশিকি ২’ খ্যাত এই গায়ক টুইটারে বলেছেন যে, ‘কানহাইয়াকে আমার গানের কোম্পানিতে গানে সুযোগ দিতে চাই।’ অঙ্কিত এর মতে, আসক্তি সমাজের শত্রু ও কেবল শিল্পই পারে এমন অশুভকে পরাস্ত করতে।
জানা যায়, কানহাইয়া কুমার বলিউডের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের একটি স্থানীয় সংগীত কোম্পানিতে গান গাওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন। জরিমানা দিয়ে ইতিমধ্যেই জেল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।