দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপরেও। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতেও সাহায্য করে। কোন উপসর্গ দেখে আপনি বুঝবেন যে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়েছে?
সাধারণ ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। এর পর্যাপ্ত মাত্রা শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এছাড়াও, এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশকেও সাহায্য করে এই ভিটামিন।
শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপরে। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি স্নায়ু সংক্রান্ত রোগেরও জন্ম দেয়।
‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিজ়অর্ডার’, ‘নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজ়অর্ডার’-এর মতো সমস্যাও অনেক সময় দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি-র মাত্রা কমে গেলেই শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
মাল্টিপ্ল স্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিজ়অর্ডারের মতো স্নায়ুর রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে প্রবল। কোন কোন উপসর্গ দেখে আপনি বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়েছে?
# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা়ড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন। শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। আপনি কী ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই উপসর্গগুলো শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির লক্ষণও হতে পারে।
# হঠাৎ চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে- তখন খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গিয়েছে কি-না।
# আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম হলেই মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। তার থেকে ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস ও ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের সূচক হতেও পারে।
# আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। সারাক্ষণ গায়ে হাত-পা ব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথায় ভুগলে তখন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবের ইঙ্গিতও হতে পারে।
# অনেক সময় দেখা যায় খিদে পেলেও খেতে ইচ্ছে করছে না? খিদে কমে যাওয়াও হতে পারে ভিটামিন ডি ঘাটতির একটি লক্ষণ।
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু বদল আনলেও শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো যেতে পারে। শরীরে এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে হলে ডায়েটে বেশি করে দই, দুধ, ছানা, মাছ, মাশরুম, ওট্স, পালং শাকের মতো খাবার রাখা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।