দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যে এবং ভরপুর জেল্লা পেতে বাড়িতেই নিয়মিত যত্ন নেওয়া যেতে পারে। বাড়িতে নিয়মিত কয়েকটি কাজ করলে পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজনই হবে না!
কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে
জেল্লাদার ত্বক ও ঘন চুল পাওয়ার জন্য়ে বাড়িতে সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা আপনার জন্যই ভালো। তাতেই আপনি পার্লারের খরচ অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন। আজ জেনে নিন এই বিষয়ে কী করণীয়।
সাধারণ হেয়ারকাট
আপনি বাড়িতেই করতে পারেন সাধারণ হেয়ারকাট বা হেয়ার ট্রিমিং। কারও সাহায্য ছাড়াই এমন সাধারণ ট্রিমিং করা সম্ভবপর হবে। সে জন্যে চুল দুই ভাগে ভাগ করে সামনে নিয়ে কাঁচির সাহায্যে ট্রিম করে নিতে হবে।
ম্যানিকিওর পেডিকিওর
বাড়িতে বসেই ম্যানিকিওর পেডিকিওর এই দুটি করে ফেলা সম্ভব। তাই এর জন্যে পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করার কোনো দরকার নেই। গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। হাতের নখও এভাবে পরিষ্কার রাখুন।
আইব্রো
আপনি আইব্রো বাড়িতে বসেই গ্রুমিং করতে পারেন। অতিরিক্ত চুল নিজেই প্লাকিং করে নিতেও কোনো সমস্যা হবে না। আইব্রো রেজার কিংবা টুইজারের সাহায্যে এই কাজটি করে ফেলতে পারেন।
ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করুন
ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করার জন্যেও আপনার পার্লারে যাওয়ার কোনোই দরকার নেই। ফেসিয়াল রেজারের সাহায্যেই বাড়িতে বসেই ক্লিন আপ করে নিতে পারেন।
ফেস মাস্ক ও স্কিনকেয়ার
ত্বকের যত্ন নিতেও স্য়ালঁতে ঢুঁ মারার কোনও রকম প্রয়োজন নেই। এইক্ষেত্রে নানা ধরনের ঘরোয়া ফেসপ্য়াকের উপর আপনি ভরসা রাখতে পারেন। বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপাদানকে কাজে লাকিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করলে উপকার পাওয়া যাবে হাতেনাতে।
হেয়ার কালার
খুব সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতে বসেই আপনি হেয়ার কালারও সেরে নিতে পারেন। এতে উপকার পাবেন অনেকটা বেশি। খরচও লাগবে কম। এইক্ষেত্রে প্রাকৃতিক হেয়ার কালারও ব্য়াহার করতে পারেন ইচ্ছে করলে। তাতে গ্রে হেয়ারও ঢেকে যাবে, সেইসঙ্গে স্ক্য়াল্পের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও তখন থাকবে না।
হেয়ার কন্ডিশনিং
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্যে হেয়ার কন্ডিশনিং করাও প্রয়োজন। আপনি বাড়িতেই ডিপ কন্ডিশনিং করে নিন। সপ্তাহে দিন দুয়েক এই কাজ করলেই ফিরবে চুলের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org