দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশে গাঁজা মাদক হিসেবে গণ্য হলেও এর ঔষধি গুনাবলিও রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ওষুধ হিসেবে চাষ করা হয় গাঁজা। এমনি এক গ্রিনহাউসে চাষ করা ১০০ কেজি গাঁজা খেয়ে ফেলেছে একদল ভেড়া!
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, তাজা ঘাসের সন্ধান করতে গিয়ে এই ভেড়ার পাল ঢুকে পড়ে গ্রিনহাউসে। তখন সাবার করে দেয় প্রায় ১০০ কেজি গাজা।
এই গ্রীষ্মে গ্রিসে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা দিয়েছে। সেখানে দাবানল এবং প্রবল বন্যা আঘাত হেনেছে। এতে অনেক এলাকায় কৃষিজমি পুরোপুরিই নষ্ট হয়ে গেছে। বেঁচে থাকা গবাদিপশু যে ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে, তারও খুব বেশি অবশিষ্ট নেই দেশটিতে। এই অবস্থায় ঘাসের সন্ধানে খেতকে খেত চষে বেড়াচ্ছে গবাদিপশু।
বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকা মধ্য গ্রিসের থেসালিতে্ও ভেড়ার পাল চষে বেড়াচ্ছিল। তারপর এগুলো অলমিরোস শহরের কাছে গ্রিনহাউসে ঢুকে পড়ে এক সময়। তখন না বুঝেই খেত থেকে গাঁজার বিরাট অংশ খেয়ে ফেলে ভেড়ার দলটি।তরপরই শুরু হয় তাদের অদ্ভুত আচরণ। একজন মেষপালক এই সময় ভেড়ার পালের অদ্ভুত আচরণ লক্ষ করেন। তবে বুঝতে পারছিলেন না যে, কেনো ভেড়ার দল এমন আচরণ করছিলেন।
ওই গাঁজাখেতের মালিক বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাত এবং দাবদাহের কারণে তার খেতের ফসলের ব্যাপক আকারে ক্ষতি হয়েছে। ‘যতোটুকু বেঁচে ছিল’ সেটি ভেড়ার দল শেষ করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসলেই জানি না যে, হাসবো নাকি কাঁদবো। দাবদাহের কারণে অনেক ফসলও নষ্ট হয়েছে। তারপর বন্যায় প্রায় সবকিছুই হারিয়েছি। এখন ভেড়ার পাল গ্রিনহাউসে ঢুকে বাকি যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, সেটুকুও খেয়ে নিলো। সত্যি, আমি জানি না যে আমার কী বলা উচিত।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org