দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এক হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ৫ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক খবরে আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) জানানো হয়, এছাড়া অনেকেই হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। বিশ্বজুড়ে সবাইকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, টাইম ইজ ওভার।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ‘এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী এবং শিশুর ওপর গণহত্যা চালানোর’ পর পরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন যে, ‘হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী এবং শিশুকে গণহত্যার মতো ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ভয়ানক অপরাধের পর আইএসআইএস -এর চেয়েও ঘৃণ্য এই ভুয়া শাসনের বিরুদ্ধে মানবতার বৈশ্বিক ঐক্যের সময় এসে গেছে।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে তিন দিক থেকেই ইসরায়েলের দক্ষিণ অংশে ঢুকে পড়ে। তাদের ওই হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে আরও অন্তত দেড়শ জনকে। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল গাজায় হামাসের সামরিক শাখা এবং অবকাঠামোতে জোর বিমান হামলা শুরু করে দেয়, শুরু হয় সর্বাত্মক হামলা ও অবরোধ। গত ১১ দিনে ইসরায়েলের বোমা হামলায় প্রায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org