দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কোলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন বলিউড ভাইজান সালমান খান। নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোস ইনডোর স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
এবারের ২৯তম কোলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন সালমান খান। শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে ছবি উৎসবের সূচনা করেন দাবাং খান খ্যাত বলিউড অভিনেতা সালমান খান। এই সময় তার পাশে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। -খবর: হিন্দুস্তান টাইমসের।
মঙ্গলবার মঞ্চে মমতার পাশে বসে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম যে, দিদি আমার থেকেও ছোট বাড়িতে থাকেন কি-না। তবে গিয়ে দেখলাম সত্যিই তাই।’ এই সময় সালমান হাসতে হাসতে বলেন, ‘দিদিকে দেখে সত্যিই আমার হিংসে হয়। কারণ, দেখলাম তিনি সত্যিই আমার থেকেও ছোট্ট একটা বাড়িতে থাকেন।’ বলিউড ভাইজান আরও বলেন, ‘আসলে আমার এবং দিদির মতো সরল মনের মানুষদের জীবন যাপনের জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।’
সালমান শুরুতেই মঞ্চে এসে, ‘কোলকাতা কেমন আছো’ পরে ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’-র মতো সংলাপ শুনে মিলনায়তনে করতালির যেনো বন্যা বয়ে যায়। এদিন রাতে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে যেনো একখণ্ড বলিউড নেমে এসেছিল। বলিউডের একঝাঁক তারকা হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে। গোটা টলিউড যেনো এসেছিল একই ছাদের তলায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির তালিকায় ছিলেন সালমান খান, সোনাক্ষী সিনহা, অনিল কাপুর, মহেশ ভাট, শত্রঘ্ন সিনহা, তিগমাংশু ধুলিয়া, পালেভ লুঙ্গিনসহ আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সালমানকে আবারও কোলকাতায় আসার অনুরোধ করেন। এই সময় সালমানও কথা দেন যে, তিনি আবারও কোলকাতায় আসবেন এবং শুটিংও করবেন। সেইসঙ্গে বাংলা সিনেমাতে অভিনয়ের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন বলিউডের অভিনেতা সালমান খান। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org