দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতের বেলায় খুব তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে, ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই পেটে অস্বস্তি ভাব হয় অনেকের। আবার, নির্দিষ্ট কোনও খাবার থেকেও গ্যাস, পেটব্যথার সমস্যা বেড়ে যেতেই পারে।
পেট ফাঁপা, গা গোলানো বা হজমের গোলমাল হওয়ার বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে। রাতের বেলায় খুব তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে, ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই পেটে অস্বস্তি ভাব হয় অনেকের। আবার অনেক সময়, নির্দিষ্ট কোনও খাবার থেকেও গ্যাস, পেটব্যথার সমস্যা বেড়ে যেতেই পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে, শরীর তখন ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেই কারণেও অনেকের গা গোলানো সমস্যা দেখা দেয়। তবে নির্দিষ্ট কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে, এই ধরনের সমস্যা কিছু খাবার খেয়েই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
কলা
চট জলদি এনার্জি দিতে পারে এমন একটি ফল হলো কলা। পটাশিয়াম, ভিটামিন ও সহজপাচ্য ফাইবারের গুণে ভরপুর এই কলা খেতে পারেন যে কোনও সময়। পেট ভরানো থেকে শুরু করে হজমশক্তি উন্নত করা, সবই করতে পারে এই ফলটি।
ডিম
সেদ্ধ, পোচ বা ভাজা- সকালের নাস্তায় ডিম থাকে বেশির ভাগ বাড়িতেই। প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের গুণে ভরপুর ডিম ও সহজপাচ্যও বটে। দেহের পেশি মজবুত করার পাশপাশি, সকালের প্রচণ্ড খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
ওটমিল
পেটফাঁপার সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই ওটমিল। এই খাবারে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এই খাবারটি। সকালের নাস্তায়, অফিসে কাজের মাঝে হাবিজাবি না খেয়ে ওটমিল খাওয়াই ভালো।
ভাত
কাজের মধ্যে খুব ক্লান্ত লাগলে একমুঠো ভাত খাওয়া যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেটের উৎসই হলো ভাত। গমজাত খাবার কিংবা ভাজাভুজি খেলে যাদের পেটের সমস্যা হয়, তারা কিন্তু ভাত খেতেই পারেন।
পাউরুটি
হয়তো আপনার খিদের জ্বালায় পেটে ছুঁচো ডন দিচ্ছে। অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে গা গুলিয়ে উঠছে। এদিকে বাড়িতে তেমন কোনও খাবার নেই। যদি কয়েকটা পাউরুটি জোগাড় করতে পারেন, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে খুব সহজেই। অনেকেই বলে থাকেন, টোস্ট করা পাউরুটি খেলে বমি বমি ভাব কমে আসতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org