দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়েও কমে গেছে। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত শনিবার প্রকাশিত এক জরিপে এমন আভাসই দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর (২০২৪) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন অনেক কম ভোট পাবেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ, অপর দিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প ৪ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌঁড়ে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী নির্বাচনে আবার অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বয়সী ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অবশ্য এতে কোনো সায় নেই। এই ক্ষেত্রে বাইডেনের বয়সকেই প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখছে তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। সে কারণে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন বলেও আশঙ্কা তাদের।
গত বৃহস্পতিবার বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আদালতে হান্টারের বিরুদ্ধে নতুন এই ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে মামলা করে মার্কিন বিচার বিভাগ।
ছেলের এমন কর্মকাণ্ডও শেষ পর্যন্ত বাইডেনের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অপরদিকে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে এই ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোও হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা, হোয়াইট হাউসের নথি হারানোসহ একাধিক মামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসেও নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক জরিপেও বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় বাইডেনের চেয়ে ৪৪ থেকে ৪৮ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর: দ্য গার্ডিয়ানের।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org