দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে একটি সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্ত জলিল। আর তাতে লুক দিয়েই চমকে দিতে চাইছেন তিনি!
‘খোঁজ দ্য সার্চ’ থেকে ‘কিল হিম’- ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ড্যাশিং লুকেই দেখা যায় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলকে! তবে এই প্রথম সিনেমার পর্দায় দর্শক তাকে দেখবে ব্যতিক্রমি চরিত্রে লুঙ্গি-গামছা পরে!
বিগ বাজেটের নতুন ছবি ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর জন্য এই নতুন লুক নিতে হয়েছে অনন্ত জলিলকে! যেখানে তাকে লুঙ্গি গামছা পরতে দেখা যায়! সম্প্রতি এফডিসিতে শুটিংয়ের সময় এই লুকেই ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হন তিনি।
‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর শুটিং শুরু হয় ২৯ নভেম্বর থেকে। এই ছবিটি নিজের ক্যারিয়ারে অন্যতম অর্জন বলে এদিন মন্তব্য করেছিলেন অনন্ত জলিল। লুঙ্গি গামছা সম্পর্কে অনন্ত জলিল বলেন, আমরা অভিনেতা, চরিত্রের কারণে যে কোনো লুকই বেছে নিতে আমাদের সমস্যা নেই। তারউপরে দেশপ্রেম নিয়ে সিনেমা, এটাতে সুযোগ পাওয়ায় আমার জন্য সত্যিই গর্বের।
এই সময় অনন্ত জলিল আরও বলেন, আজকে আমাকে লুঙ্গি পরা অবস্থায় প্রযোজক-পরিচালক ইকবাল ভাই আমাকে বলেছেন যে, আমি আমার পরবর্তী সিনেমাতেও আপনাকে লুঙ্গি পরা কোনো চরিত্রেই অভিনয় করাবো! আমাকে নাকি লুঙ্গিতে অনেক ভালো লাগছে!
অনন্ত জলিল ছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াত, নিপুণ, ওমর সানী, ইমন, নিরব, রেবেকা, অমিত হাসান, রোশান, আমান রেজা, শিমুল খান, শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, খোরশেদ আলম খসরু, সাঞ্জু জন, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরীসহ অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org