দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময়ই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে চালু হয়তো নাও হতে পারে। তখন প্রায়শই সেফ মোড চালু হয়ে যায়। কিন্তু এই সেফমোড আসলে কী?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি উইন্ডোজের একটি বিশেষ ব্যবস্থা। পিসিতে কোনো ঝামেলা হলেও অনেক সময় ন্যুনতম প্রস্তুতি হিসেবেও সিস্টেম চালু করতে হয়। তখন সেফ মোড আপনাকেই নিস্তার দেবে।
সেফ মোডের পরই স্বাভাবিকভাবে কম্পিউটার চলু হয় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যদি দেখুন বারবারেও তা কাজই করছে না তখন আপনাকে বুঝতে হবে গোঁড়ায় গলদ রয়েছে।
উইন্ডোজের কোনো অতীব জরুরি ফাইলের ক্ষতি কিংবা হার্ডওয়্যারের সমস্যার কারণেও এমনটি হতে পারে। নতুন কোনো হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তনের কারণে যদি উইন্ডোজ বারবার সেফ মোডে চলেও যায়, তাহলে আগের সেটিংস রিভার্স করে নেওয়াই হবে সহজ একটি সমাধান। উইন্ডোজের সেফ মোডকে ডায়াগনস্টিক মোড বলা হয়ে থাকে।
উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময় F8 কি প্রেস করলে যে মেন্যু চলে আসে; সেখান থেকেই সেফ মোড চালু করা যাবে। যেহেতু মূলত এটি ডায়াগনস্টিক মোড, তাই এমন মোডে বাড়তি কোনো কিছু, যেমন- হাই কালার ডিসপ্লে, সাউন্ড, প্রিন্টার তেমন কিছুই তখন আর কাজ করবে না। সূত্র: বিবুম
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org