দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিওয়াইডি’র সঙ্গে টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের এখনই সময়। দেশের অটোমোবাইল খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করতে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকেল (এনইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি।
বাংলাদেশে বিওয়াইডি গাড়ির পরিবেশক সিজি রানার বিডি লিমিটেড দেশের বাজারে বিওয়াইডি সিল গাড়ি উন্মোচন করে। নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ গাড়ি বিওয়াইডি সিল উন্মোচনের মাধ্যমে এদেশে যাত্রা শুরু করল ব্র্যান্ডটি।
সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, “দেশ এবং পরিবেশের স্বার্থে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ব্যবহৃত মোটরযানের অন্তত ৩০ শতাংশ বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে রূপান্তরে সরকারের লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং বায়ু দূষণ কমিয়ে আনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করতে আমরা বিওয়াইডি গাড়ি উন্মোচন করেছি। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে তা অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে ও অটোমোবাইল খাতের উন্নতিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। আমাদের প্রত্যাশা সবাই বিওয়াইডি’র সঙ্গে টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে ও আমরা টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রাসঙ্গিক সকল অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবো।”
বিওয়াইডি’র নিজেদের উদ্ভাবিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত বিওয়াইডি সিলে ব্যবহার করা হয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন- ওশান অ্যাসথেটিকস। বিওয়াইডি’র ই-প্ল্যাটফর্ম ৩.০ -এর ভিত্তি করে নির্মিত বিওয়াইডি সিল সম্পূর্ণভাবেই বৈদ্যুতিক গাড়ি। বিওয়াইডি সিল বিশ্বের প্রথম মাস-প্রডিউসড মডেল যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে বিওয়াইডি’র উদ্ভাবনী সিটিবি (সেল-টু-বডি) প্রযুক্তি। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্লেড ব্যাটারি গাড়ির বডির সঙ্গে চমৎকারভাবে একীভূত হয়ে ‘স্যান্ডউইচ’ কাঠামো তৈরি করেছে, যে কারণে টর্শনাল রিজিডিটি অর্জিত হয়েছে প্রতি ডিগ্রিতে ৪০,৫০০ নিউটন মিটার। এই উদ্ভাবন গাড়ি ব্যবহারে নিশ্চিত করবে সুরক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা ও কার্যকারিতা। তাছাড়াও, বিওয়াইডি সিলে রয়েছে আইটিএসি (ইন্টেলিজেন্ট টর্চার অ্যাডাপ্টেশন কন্ট্রোল) সিস্টেম এবং আরডব্লিউডি ও এডব্লিউডি কনফিগারেশন। বিওয়াইডি সিলের দুর্দান্ত অ্যাকসেলেরেশন (৩.৮ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার/আওয়ার) ও ০.২১৯সিডি আল্ট্রা-লো অ্যারোডায়নামিক ড্র্যাগ কোএফিশিয়েন্ট প্রকৃতর্থেই বৈদ্যুতিক সেডানের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। বিওয়াইডি সিল -এ রয়েছে স্ল্যান্টেড রুফলাইন, প্যানোরোমিক গ্লাস রুফ, শর্ট রিয়ার ডেক, ওয়াটারড্রপ মিরর, ওয়েভ ওয়েস্টলাইন এবং এলইডি লাইট। সেডানটির ভেতরে রয়েছে নেভিগেশনের জন্য ১৫.৬ রোটেটেবল টাচস্ক্রিন, ভেহিকেল সেটিংস এবং এন্টারটেইনমেন্ট ফাংশন, সঙ্গে বিওয়াইডি’র নিজস্ব ইন্টেলিজেন্ট ককপিট সিস্টেম ও ভয়েস কম্যান্ড সুবিধা। বিওয়াইডি সিলের প্রিমিয়াম হাইফাই ডাইনোডিও সাউন্ড সিস্টেম গান শোনা এবং বিনোদনের অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও উপভোগ্য। এছাড়াও, বিওয়াইডি সিল -এ রয়েছে পিএম২.৫ ফিলট্রেশন সিস্টেম, যা গাড়ির ভেতরে নিশ্চিত করবে স্বাস্থ্যকর এবং চমৎকার পরিবেশ।
দেশের বাজারে বৈদ্যুতিক এ সেডানটি দুটি সংস্করণে পাওয়া যাবে; যথা: এক্সটেন্ডেড রেইঞ্জ (রিয়ার ড্রাইভ) ও এডব্লিউডি (অল-হুইল ড্রাইভ)। ফিচার অনুযায়ী দুটি সংস্করণেই রয়েছে ৮২.৫৬ কিলোওয়াট হাওয়ার ব্যাটারি, যা ৫৭০ কিলোমিটার (ডব্লিউএলটিপি) পর্যন্ত বিস্তৃত সুবিধা প্রদান করে। ডুয়াল-মোটর অল-হুইল ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ১৬০ কিলোওয়াট/৩১০ নিউটন মিটার সক্ষমতা সমৃদ্ধ ফ্রন্ট মোটর ও ২৩০ কিলোওয়াট/৩৬০ নিউটন মিটার সক্ষমতা সমৃদ্ধ রিয়ার মোটর, একসঙ্গে যার আউটপুট হবে ৩৯০ কিলোওয়াট/৬৭০ নিউটন মোটর। সেডানটিতে মাত্র ৩.৮ সেকেন্ডে শূন্য হতে ঘন্টায় ১শ’ কিলোমিটার গতি উঠবে। অন্যদিকে, এক্সটেন্ডেড রেইঞ্জ ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে সিঙ্গল-মোটর রিয়ার ড্রাইভ কনফিগারেশন এবং ২৩০ কিলোওয়াট ও ৩৬০ নিউটন মিটার আউটপুট ক্যাপাসিটি। এর ফলে, সেডানটিতে মাত্র ৫.৯ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ঘন্টায় ১শ’ কিলোমিটার গতি উঠানো যাবে। সেডানটির দুটি ভ্যারিয়েন্টই মাত্র ৩০ মিনিটে ৩০ হতে ৮০ শতাংশ চার্জ হবে। বিওয়াইডি সিল বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে চারটি রঙে; যথাক্রমে: আর্কটিক ব্লু, অরোরা হোয়াইট, আটলান্টিস গ্রে এবং কসমস ব্ল্যাক।
ইতিপূর্বে রাজধানীর ৩৪০, হক সেন্টার, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, তেজগাঁওয়ে বিওয়াইডি’র ফ্ল্যাগশিপ শো-রুম উদ্বোধন করা হয়। আগ্রহী ক্রেতারা বিওয়াইডি শো-রুমে এসে বিওয়াইডি সিলের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন ও গাড়িটি বুকিং দিতে পারবেন পারবেন। তাছাড়াও, বিওয়াইডি চালু করেছে আভা গার্ড স্কিম, যার মাধ্যমে ওই দিন গাড়ি বুকিং দেওয়া ক্রেতারা বিনামূল্যে বিমা, অ্যাকসেসোরিজ, নিবন্ধন ও ডাবল ডিপোজিট সুবিধা পাবেন। www.drivebydbd.com -এ লিঙ্ক ভিজিট করে আগ্রহী ক্রেতারা বুক করতে পারবেন টেস্ট ড্রাইভ।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org