দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী যুগে এই নির্বাচন একটি রেকর্ড। এতে করে ৭১ বছর বয়সী রাশিয়ার এই নেতার আরও ৬ বছর ক্ষমতায় থাকা পাকাপোক্ত হলো। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায় আসীন রয়েছেন। -খবর: রয়টার্সের।
এবারের ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরিচিত মুখ না হওয়ার কারণে তারা ভোটের লড়াইয়ে ভালো করতে পারবেন না তা আগে থেকেই মনে করা হচ্ছিল। ভোটের দিন দেশটির বিভিন্ন অংশে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে তার অন্য তিন প্রতিযোগীর কারও ভোটের হার দুই অঙ্কের কোটাতেও পৌঁছেনি। তারা কেওই ৪ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। শুক্রবার শুরু হওয়া ভোটের প্রাথমিক ফলাফল রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার বরাত দিয়ে পুতিন বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল।
এরপর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যারমধ্যে পুতিন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছেন পুতিন। এতে করে ২০০ বছরের মধ্যে পুতিন রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নেতা হতে চলেছেন। যারমধ্যে দিয়ে জোসেফ স্ট্যালিনকে ছাড়িয়ে যাবেন। টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ২০২১ সালে আইন পরিবর্তন করেছিলেন পুতিন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org