দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্র শক্তিশালীকরণের যৌথ লক্ষ্যের প্রতিফলন হিসেবে পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করলো দেশের অন্যতম বৃহৎ ফার্স্ট-জেনারেশন ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) এবং কম্পিউটার রিটেইলে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান রায়ানস কম্পিউটারস।
দুই প্রতিষ্ঠানের এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের কারণে রায়ানস কম্পিউটারস থেকে পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকরা ইউসিবির অত্যাধুনিক এবং নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার অধীনে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারবেন।
চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইউসিবির হেড অব রিটেইল বিজনেস ডিভিশন মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান। সম্প্রতি ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির হেড অব ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ডিভিশন মোহাম্মদ গোলাম ইয়াজদানি, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ই-কমার্স নেসার উদ্দীন আহমেদ, এর হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং শরীফ মুনিরুল হক, রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের চীফ ফাইন্যান্স অফিসার সাজেদুল করিম ও প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই চুক্তির অধীনে, সকল ধরনের ভিসা এবং মাস্টারকার্ডের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থ্রিডি সিকিউর কোড ভেরিফিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রায়ানস কম্পিউটারসকে সুবিধাজনক পেমেন্ট অপশনসহ নানাবিধ পেমেন্ট সমাধান প্রদান করবে ইউসিবি। ডিজিটাল লেনদেনের পরিধি ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে; এ সময় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দু’টি প্রতিষ্ঠানই নির্ভরযোগ্য এবং সুরক্ষিত নগদ অর্থবিহীন লেনদেন সমাধান নিয়ে আসার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে কাজ করে যাবে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org