দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষকে বিশ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির রাজধানী সিউলের ইয়েউইডো হান রিভার পার্কে একটি ব্যতিক্রমী ঘুম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো। প্রায় ১০০ প্রতিযোগী এতে অংশ গ্রহণ করে।
জিনহুয়া নিউজের এক খবরে বলা হয়, প্রতিযোগিতাটির আয়োজক লিম জি-হিওন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ খুব কম ঘুমান। আশা করি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানুষ বিশ্রাম নেওয়া ও ঘুমের সুফল সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অংশগ্রহণকারীদের তাদের সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক পরে আসতে বলা হয়। প্রতিযোগিতার স্থানে দেওয়া এয়ার কোচে শুয়ে ঘুমাতে হয় তাদের। প্রতিযোগিদের প্রত্যেককেই ঘুমাতে হয়েছে দেড় ঘণ্টা।
এতে অংশগ্রহণকারী অনেকের মধ্যেই ছিলো বেশ উচ্ছ্বাসের সুরও। অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, সাধারণত আমরা সপ্তাহজুড়েই অনেক কাজ করে থাকি। যে কারণে ক্লান্ত হলেও ঘুমাতে পারি না। এই প্রতিযোগিতাটি দারুণ, ঘুমাতে পারবো শুনেই এতে অংশ নিতে এসেছি।
কার ঘুম কতো ভালো তা নির্ধারণ করা হয় হার্ট রেটের পার্থক্য পরিমাপ করে। রাতে বেশি ঘুমায় ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বাসিন্দারা ঘুমায় সবথেকে কম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org