দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জেনারেটিভ এআই এবং এমবেডেড ফাইন্যান্স সমাধান (সল্যুশন) তৈরির লক্ষ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম ২০২৪- এর জন্য ৫টি স্টার্টআপকে নির্বাচিত করেছে ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা।
৩শ’ জনেরও বেশি আবেদনকারীর মধ্যে থেকে আইফার্মারসহ মাত্র ৫টি স্টার্টআপ এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনাম থেকে নির্বাচিত হয়েছে বাকি চারটি স্টার্টআপ।
আগামী ৬ মাস আইফার্মার অন্যান্য স্টার্টআপগুলোর সাথে (আইপিইডি, অন-আস, অপলেইন এবং কিউকো) ভিসা’র প্রোডাক্ট আর্কিটেক্টদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার উপযোগী নতুন সমাধান তৈরি এবং নিরীক্ষা করার সুযোগ পাবে। ডেমো ডে’র মাধ্যমে এই প্রোগ্রামটি শেষ হবে। এছাড়াও, এই ব্যাচ থেকে নির্বাচিত একটি স্টার্টআপ ‘ভিসা এভরিহয়্যার ইনিশিয়েটিভ’ অনুষ্ঠানে সবার সামনে এর উদ্ভাবনী সমাধান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। টেকক্রাঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এই ইনোভেশন প্রোগ্রাম সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত হবে।
ভিসা বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, “ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম উদ্ভাবন এবং এর ইতিবাচক প্রভাবের মধ্যে সংযোগ হিসেবে কাজ করে। এই প্রোগ্রামটি আইফার্মারের মতো দূরদর্শী স্টার্টআপকে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে সমন্বয় করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতেও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের স্টার্টআপগুলো যেন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে উন্নতি করতে পারে সেজন্য আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”
আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “আমরা কৃষিখাতের বর্তমান এবং আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একটি গঠনমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করি। আমাদের অর্জিত সম্যক ধারণা এই খাতের জন্য উপযোগী সমাধান বের করতে ভূমিকা রাখে। কৃষকসহ কৃষি সাপ্লাই চেইনের সাথে জড়িত সকলের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এইসব সমাধান। আমাদের পেমেন্ট (অর্থ পরিশোধ) সংক্রান্ত সমাধান ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সমাধানের মাধ্যমে আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বৃদ্ধিতে ও বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে কাজ করে যাচ্ছি।”
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আইফার্মার একটি প্রযুক্তিগত ও ডেটা-নির্ভর স্টার্টআপ, যা কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন আর্থিক এবং ডিরেক্ট-টু-ফার্ম কমার্স সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করে। আইফার্মার আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের কৃষি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। এছাড়াও, কৃষি ইনপুট প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রান্তিক পর্যায়ে পণ্য ও সেবা বিতরণে সহায়তা এবং প্রক্রিয়াকরণে নিয়োজিত কোম্পানি ও রপ্তানি বাজারে উচ্চমানের কৃষি পণ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করে আইফার্মার।
এই বছরের নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)/জেনারেটিভ এআই), এমবেডেড ফাইন্যান্স, গ্লোবাল মানি মুভমেন্ট, ডিজিটাল অ্যাক্সেপটেন্স এবং লয়্যালটি অব দ্য ফিউচারের মতো নতুন খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সমাধান নিয়ে কাজ করছে। ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে অনেক স্টার্টআপের বিকাশে ও বিভিন্ন ইউজ কেস বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org