দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০০৯ সালে মারা গেছেন ‘কিং অব পপ’ খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন। তার পূর্বে ৬৫ জনের কাছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার কোটি) বেশি ঋণে জর্জরিত ছিলেন তিনি!
গত ২১ জুন, লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে জ্যাকসনের এস্টেটের নির্বাহকদের দায়ের করা এক পিটিশনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। -খবর পিপল ম্যাগাজিনের।
পিটিশনে ২০১৮ সাল হতে আইনি ফি ও অন্যান্য খরচ পরিশোধের জন্য জ্যাকসনের ২ বিলিয়ন ডলারের এস্টেট হতে তহবিলের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। নির্বাহকগণ সফলভাবে এই মামলাগুলোর অধিকাংশই নিষ্পত্তি কিংবা খারিজ করতে সক্ষম হন।
ওই পিটিশনে জ্যাকসন যে আর্থিকভাবে অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন তা তুলে ধরা হয়। মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময় ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ঋণ এবং পাওনাদারদের দাবি ছিলো, যারমধ্যে কিছু ঋণ অত্যন্ত উচ্চ সুদের হারে নেওয়া হয়েছিল ও কিছু ঋণ খেলাফ করা হয়। এগুলো মাইকেল জ্যাকসনের জন্য বোঝা এবং প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে জানানো হয়।
মাইকেল জ্যাকসন অবাধে অর্থ ব্যয় করতেন। তিনি তার বেশির ভাগ টাকা খরচ করতেন দান, উপহার, বেড়ানো কিংবা ব্যক্তিগত বিমান আসবাবপত্র চিত্রকর্ম এবং জুয়েলারির পেছনে। বেহিসাবি টাকা খরচের কারণে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েন জ্যাকসন।
তা ছাড়াও ঋণের সুদ পরিশোধের পেছনে তার সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে যেতো। ২০১৩ সালে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন একজন ফরেনসিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট জানান যে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জ্যাকসনকে ঋণ পরিশোধ বাবদ বছরে অন্তত ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হতো। ঋণের সুদ বছর বছর আরও বাড়ছিল। এই সুদ শুরুতে ৭ শতাংশেরও কম ছিল। পরে বেড়ে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে বাৎসরিক সুদ দাঁড়ায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org