দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও লেবাননের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করেছে ইসরাইল। এতে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বৃহত্তম শহর টায়ারের একটি গাড়িতে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। টায়ারের আল-হাওশ এলাকায় সংঘটিত হামলায় আহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স। এই হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ভাইরাল হয়।
এদিকে লেবাননের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। রাজধানী বৈরুতে এক অনুষ্ঠানে মিকাতি বলেছেন, গাজায় চলমান গণহত্যার মুখে আমরা আমাদের আরব পরিচয় নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা একটি মুক্ত এবং স্বাধীন রাষ্ট্রে বাস করতে পারলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। মূলত ফিলিস্তিন থেকেই এই অঞ্চলের ইতিহাস শুরু হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলেই ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই বন্ধ করবে লেবাননে ইরান সমার্থিত প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সংগঠনের উপপ্রধান শেখ নাইম কাসেম এই ঘোষণা দিয়েছেন। ২ জুলাই বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থামবো। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ হলো মিত্র হামাসের জন্য একটি সমর্থন ফ্রন্ট হিসেবে। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, এই সামরিক সমর্থন থাকবে না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org