দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কঙ্গনা রানাওয়াত বলিউডের বিতর্কিত একজন অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা হিসেবেও বেশ পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এ বছর ভারতের সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার প্রথম সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সিনেমাটির নাম ‘ইমার্জেন্সি’।
দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে এই সিনমোটি। অভিনয়ের পাশাপাশি এই সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন কঙ্গনা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে এই সিনেমাটি।
এবার তিন খান— শাহরুখ, সালমান এবং আমিরকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। সম্প্রতি ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা বলেছেন, আমি বলিউডের তিন খানকে নিয়ে সিনেমা বানাতে চাই। আমি তাদের মেধা’কে প্রদর্শন করতে চাই। তারা খুবই প্রতিভাবান অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু দিয়েছেন তারা। সে জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া দরকার।
তবে সিনেমা নির্মাণের কোনো প্রস্তুতি নিয়েছেন কি-না বা এই নিয়ে তিন খানের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, সেই বিষয়ে কিছুই জানাননি কঙ্গনা। এমনকি বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি তিন খানের।
উল্লেখ্য, ‘ইমার্জেন্সি’ চলচ্চিত্রে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন তিনি। কঙ্গনা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হলো ‘তেজাস’। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় এই সিনেমাটি। যদিও ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স-অফিসে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org