দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একসঙ্গে বহু কাজ করেছেন সালমান খানের বাবা গল্পকার সেলিম খান এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার । তাদের সন্তান সালমান খান ও চিত্রনাট্যকার জোয়া আখতার একটি কাজ এখনও একসঙ্গে করেননি। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জোয়া জানালেন সালমানের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার কথাও।
‘গলি বয়’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘লাক বাই চান্স’-এর মতো জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমার নির্মাতা জোয়া বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ‘আমার জন্য সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা হবে! তবে তিনি একজন মেগাস্টার, তার ব্যক্তিত্বটাই পৃথক। পাশাপাশি তার একটি বড় ফ্যানবেজ রয়েছে। তাই আমাকে অবশ্যই এমন বিষয় খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে তার, তার ভক্তদের ও আমার ভাবনায় মিল হয়। যে মুহূর্তে আমরা এই পছন্দের বিষয়টি খুঁজে পাবো, তখনই এই কাজটি সুন্দর হয়ে উঠবে, কাজটা করতেও আমাদের ভালো লাগবে।’
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে আসন্ন ডকুমেন্টারি ‘অ্যাংরি ইয়াং মেন’-এ জোয়া সহ-প্রযোজনাও করছেন। এই ডকুমেন্টারিতে মাধ্যমে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতারের জীবন ও তাদের একসঙ্গে কাজ করার নানা মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। তিনি সিরিজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জোয়া সালমান খানের সঙ্গে দেখা করার কথাও জানান।
জোয়া জানিয়েছেন, তিনি তার ভাই পরিচালক ফারহান আখতারকে সঙ্গে নিয়েই সালমানের বিখ্যাত গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। সেখানে সালমানের সঙ্গে দেখাও হয়েছে।
এ সম্পর্কে জোয়া বলেন, ‘খুব আনন্দের অভিজ্ঞতা ছিল আমাদের কাছে। আমরা তার বাড়ির লনেও ছিলাম, সেখানে চা খাচ্ছিলাম, তার সব ভাগ্নেরা আশেপাশেই ছিল। তাদের দেখে আমার আমাদের ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে যাচ্ছিল। গ্যালাক্সিতে আমরা ছোটবেলায় সকলে একসঙ্গে খেলতাম।’ তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org