দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমাবাজারও দখল করে নিয়েছিল ব্যবসাসফল ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। ৯০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত আয় করেছিল প্রায় ১০০০ কোটি রুপি!
ব্যবসায়ীকভাবে সফল হওয়ার পরই সালমান-কবির ভক্ত-অনুরাগীরা দাবি করে আসছেন যে, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সিকুয়েল নির্মাণ করা হোক। গত ৯ বছরে সিনেমাটির সিকুয়েল নিয়ে নানা খবর শোনা যায়। তাহলে সত্যিই কী নির্মিত হচ্ছে এর সিকুয়েল অর্থাৎ দ্বিতীয় পার্ট?
সম্প্রতি ইন্দো-এশিয়ান নিউজ এজেন্সিকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার পরিচালক কবির খান। এই আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয় যে, আপনি কি মনে করেন প্রত্যেক ব্লকবাস্টার সিনেমারই সিকুয়েল নির্মিত হওয়া উচিত?
এই প্রশ্নের জবাবে কবির খান বলেছেন, ‘সবগুলো নয়। আমি প্রথম ব্যক্তি বলছি, প্রতিটি ব্লকবাস্টার সিনেমার সিকুয়েল নির্মাণের প্রয়োজন নেই। সে কারণে আমি আমার জীবনে কখনই সিকুয়েল নির্মাণ করিনি।’
বক্স অফিসে সফল সব সিনেমার সিকুয়েল কেনো নির্মাণ করা উচিত নয়, তার ব্যাখ্যা করে কবির খান বলেছেন, “প্রত্যেকবার আমি সফল সিনেমা উপহার দিয়েছি। দর্শকরা বলেছেন যে, ‘সিকুয়েল বানান’। ‘নিউ ইর্য়ক’, ‘টাইগার’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ মুক্তির পরও আমাকে তারা একই কথা বলেছেন। তবে আমি তা নির্মাণ করিনি। সুতরাং আমি প্রথম ব্যক্তি বলছি যে, কেবল সিনেমা সফল হলেই সিকুয়েল নির্মাণ করা মোটেও উচিত নয়। সিকুয়েল তখনই নির্মাণ করা যেতে পারে যখন সত্যিকারের গল্প থাকবে, যা আরও সামনে এগিয়ে নেবে।”
কবির খানের দাবি হলো, “তিনি কখনও বলেননি যে, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সিকুয়েল নিয়ে কাজ করছেন।” কবির খানের ভাষায়, ‘আমি সবসময়ই বলেছি যে, হ্যাঁ, সম্ভবত…। তবে কখনও ভালো চিত্রনাট্য আসলে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সিকুয়েল নিয়ে কাজ করবো। তবে বিষয়টি এমন নয় যে, এই সিনেমা সফল হয়েছে বলে সিকুয়েল নির্মাণ করবো।”
জানা যায়, ২০২১ সালের শেষের দিকে এক অনুষ্ঠানে সিনেমাটির সিকুয়েল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সালমান খানও। সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে, “হ্যাঁ, ‘বজরঙ্গি ভাইজান টু’ নির্মিত হচ্ছে। তারপর থেকেই এই সিনেমার অপেক্ষায় রীতিমতো দিন গুনছে দর্শকরা। তথ্যসূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org