দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত রায়হান রাফির ‘তুফান’। শুরু থেকেই ছবিটি নিয়ে হাউজফুল ছিল দেশের প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ। তারপর মাত্র ১৫ দিনেই আয় তুলে নিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে এই চলচ্চিত্রটি। এবার এটি ওটিটিতে নিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেবলমাত্র বাংলাদেশেই নয়, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াতেও সাড়া ফেলে এই চলচ্চিত্রটি। বলা যায় যে, দেশের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমায় পরিণত হয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’।
তবে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদল এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে থেমে যায় দুষ্ট কোকিলের বাজনা। বিনোদন অঙ্গন নিয়ে মানুষের আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে যায়, একযোগে বন্ধ হয়ে যায় প্রেক্ষাগৃহগুলো। প্রায় দেড় মাস পর আবার সচল হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। তারপর শুক্রবার (৩০ আগস্ট) থেকে আবার প্রেক্ষাগৃহে আসে ‘তুফান’।
ইতিমধ্যে নতুন খবর নিয়ে এলেন এই চলচ্চিত্রের নির্মাতা রায়হান রাফি। এবার ওটিটিতে আসছে ‘তুফান’! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘বছরের বহুল প্রত্যাশিত সিনেমা ‘তুফান’ ওটিটিতে আসতে চলেছে। খুব দ্রুতই দেখা যাবে অনলাইন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম চরকি এবং হইচইতে।’
উল্লেখ্য, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘তুফান’ সিনেমা। যেখানে উঠে এসেছে নব্বই দশকের এক চিত্র। সেই সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে গেছে তুফানের গল্প।
যৌথ প্রযোজনার ‘তুফান’-এ যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশের নামি প্রযোজনা সংস্থা চরকি এবং আলফা আই, ভারত থেকে যুক্ত হয় এসভিএফ। শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাবিলা, মিশা সওদাগর সহ অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org