দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরীফ জহীর।
সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: সাজ্জাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো: তানভীর খান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান মো. ইউসুফ আলী ও অডিট কমিটির প্রধান চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ওবায়দুর রহমান এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ফরিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
নবগঠিত পর্ষদ ব্যাংকের সব আমানতকারী, ব্যবসায়িক অংশীদার, স্টেকহোল্ডার, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং শুভানুধ্যায়ীদের ব্যাংকের প্রতি আস্থা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান। পর্ষদ ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক অবস্থা গভীরভাবে পর্যালোচনা করেন ও আমানতকারী এবং ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়িক অংশীদার, আমানতকারী-সহ অন্যান্য সকল স্টেকহোল্ডার ও বাংলাদেশ ব্যাংক-সহ সব নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নির্দেশ এবং সহযোগিতা নিয়ে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org