দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষকের নাম বীর সিংহ মেধা। তিনি রতলাম জেলা সদর হতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সেমালখেদির একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
শিক্ষক দিবসে এক ছাত্রীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! বরখাস্ত করা হয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক সরকারি স্কুলের শিক্ষককে। সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের রতলাম জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষকের নাম বীর সিংহ মেধা। তিনি রতলাম জেলা সদর হতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সেমালখেদির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযোগ উঠেছে যে, শিক্ষক দিবসে মত্ত অবস্থায় এক ছাত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন তিনি। পরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। সেই ভিডিওতে ভাইরাল নেটমাধ্যম এক্স। চুল কাটার পর নাবালিকা ছাত্রীকে কাঁদতেও দেখা যায় ওই ভিডিওটিতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ছুটে যান এবং ওই শিক্ষককে তখনও তার চুল কাটতে দেখেন। পরে আরও অনেকেই সেখানে উপস্থিত হন। তখনই ওই শিক্ষকের সঙ্গে তর্কাতর্কিও শুরু হয় গ্রামবাসীদের। ওই শিক্ষক দাবি করেন যে, পড়াশোনা না করার জন্যই ওই ছাত্রীকে তিনি শাস্তি দিয়েছেন। তাকে এও বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা ভিডিও শুট করতে পারেন। তবে কেও আমার কিছুই করতে পারবে না।’’ ওই সময় শিক্ষক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি করেছেন অনেকেই।
ঘটনা সম্পর্কে জেলাশাসক রাজেশ বাথাম জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org