দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২ অক্টোবর। জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে স্পেট ডটকম জানিয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের দিন চাঁদ তুলনামূলক ছোট দেখাবে। এই সূর্যগ্রহণটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে না বরং এটি একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ হবে। যাকে রিং অফ ফায়ারও বলা হচ্ছে। এই সময় সূর্যগ্রহণের কারণে আকাশে কোথাও কোথাও আগুনের বলয়ও দেখা যাবে।
এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, সূর্যগ্রহণটি রিং অব ফায়ারে পরিণত হলে সেটি ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। আগামী ২ অক্টোবর গ্রহণটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দিকে এবং গ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড।
বিরল এই সূর্যগ্রহণটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হতে দেখা যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিলি ও দক্ষিণ আর্জেন্টিনা থেকে এটি দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশে এই গ্রহণটি দেখা যাবে না।
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী যখন একটি সরলরেখায় আসে, ঠিক তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। অর্থাৎ ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ে না, একে সূর্যগ্রহণ বলে।
চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে এর দূরত্ব পরিবর্তিত হয়। কখনও চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে আবার কখনও থাকে দূরে। চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছাকাছি থাকে তখন বড় দেখায় ও দূরে গেলে সেটি ছোট দেখায়। সূর্যগ্রহণের সময় যদি চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে, তাহলে তার বড় আকারের কারণে এটি পৃথিবী হতে সূর্যকে পুরোপুরিভাবে ঢেকে ফেলে। একই সময়, যখন এটি অনেক দূরে থাকে, তখন এর ছোট আকারের কারণে এটি কেবল সূর্যের মাঝখানের অংশকে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়। যে কারণে সূর্যের ধার দেখা যায়, যা আকাশে আগুনের বলয় সৃষ্টি করে। একেই বলে রিং অফ ফায়ার। আগুনের বলয়টি সম্পূর্ণ হতে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত রিং অফ ফায়ার কয়েক সেকেন্ড হতে ১২ সেকেন্ডের মধ্যেই দেখা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org